`আসুন আমরা জোট বাঁধি, এগিয়ে যাই`, চব্বিশের লক্ষ্যে বিরোধী জোটকে বার্তা Mamata-র
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শহিদ দিবস পালন ও ভাষণ সম্প্রচারের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি ২১ জুলাই 'বিজয় দিবস' পালন করতে চান। কিন্তু করোনাকালের জন্য সে পরিকল্পনা মুলতুবি রেখে কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি শহিদ স্মরণ করবে তৃণমূল। শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন তৃণমূল নেত্রী। যা রাজ্যের পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরেও দেখানো হবে। একাধিক রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শহিদ দিবস পালন ও ভাষণ সম্প্রচারের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
Latest Updates
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কোভিড মিটলে ব্রিগেডে বড় সভা করব। সমস্ত বিরোধী দল মিলে সেই অনুষ্ঠান করব। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব। আসুন আমরা জোট বাঁধি, এগিয়ে যাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সবাইকে বলব একসঙ্গে আসুন, বিজেপির সঙ্গে লড়াই করুন। আমরা হারব না। আমরা ভয় পাব না। কেউ মাথা নত করব না। অনেক গদ্দার আছে যাঁরা বড় বড় কথা বলছে। মানুষ গদ্দারদের জবাবা দেবে। বিজেপিতে গদ্দারদের জন্ম হয়। ওরা সবার কণ্ঠরোধ করতে চায়। আমরা চুপ করব না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: জ্বালানীর দাম বাড়ল কেন? প্রতিদিন সময় পেলে আধ ঘণ্টা মিছিল করুন। পেগাসাস নরেন্দ্র মোদীর নাভিশ্বাস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ভারত উন্নয়ন চায়। ভারত শক্ত অর্থনীতি চায়। ভারত কৃষক, শিশু, মহিলা, দরিদ্রদের উন্নয়ন চায়। বিজেপি কিছু করছে না। আপনি কটা রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেন প্রধানমন্ত্রী? আমাদের জোট ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বেকারত্ব বাড়ছে। অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। কৃষকরা কাঁদছে। কেন তিনটে কৃষি আইন এনেছেন? বিজেপি মানবাধিকার জানে না। বিজেপির মগজে মরুভূমি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: গোলি, গুলি আর গালির পলিটিক্স চলছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করব দয়া করে দেশকে বাঁচান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বুথকর্মীরা যেমন কাজ করেছেন করুন। এখন ছেড়ে দিলে হবে না। যতদিন বিজেপিকে বিতারিত করতে না, পারব ততদিন খেলা হবে। ১৬ অগাস্ট খেলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে বাংলায়। আজ আমাদের স্বাধীনতা বিপদে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মেডিসিন, ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। মৃতদেহও সৎকার করতে দিচ্ছে না। কোভিড রুখে আজকে বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে। একসঙ্গে কাজ করার জন্য জোট বাঁধুন। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। দিন নষ্ট করা যাবে না রোগ সারাতে শীঘ্র চিকিৎসা শুরু করতে হবে। তিনদিন দিল্লিতে যাব। সকলের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে চাইব। বিজেপি যত অত্যাচার করেছেন আমার মা-বোনেরা তার প্রতিবাদ করেছেন। আমাদের সমর্থন করেছেন তাই আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নষ্ট করছে বিজেপি। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে বিজেপি। গণন্ত্রের বদলে গোয়েন্দাগিরি চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের ফোনে নজরদারি চলছে। আমি চাইলেও চিদম্বরম, শরদ পাওয়ার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। ফোনে নজরদারি চালাচ্ছে। মন্ত্রীর ফোন, বিচারপতির ফোনে নজরদারি চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরায় আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে। এটা কি গণতন্ত্র?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আপনারা আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোর, আইপ্যাক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়কে ধন্যবাদ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রথমেই শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, পি চিদম্বরম, রামগোপাল যাদব, জয়া বচ্চন, সঞ্জয় সিং, মনোজ ঝাঁ, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, সর্দার বলবিন্দর সিংকে ধন্যবাদ জানাই। আমার রাজ্যের নেতা এবং ব্লক স্তরের নেতাদেরও ধন্যবাদ জানানই। বাংলার মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। মানি পাওয়ার, মাসেল পাওয়ার, এজেন্সি পাওয়ারের বিরুদ্ধে আপনারা তৃণমূলকে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এনেছেন।
দিল্লিতে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্যে শান। অনুষ্ঠানে হাজির শরদ পাওয়ার, পি চিদম্বরম, শরদ যাদব, সুপ্রিয়া সুলে, জয়া বচ্চন প্রমুখ জাতীয় স্তরের নেতা। একুশের বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠা লাভে পর তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। মোদীবিরোধী লড়াইয়ের ভরকেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর তৃণমূল।
কাকালি ঘোষ দস্তিদার: আহত বাঘ আরও বেশি হিংস্র। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতে ২০১৪ থেকে অন্যায় চলছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ তৈরি করে ভারতকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করছে বিজেপি। ভারতের শ্রেষ্ঠ নেতা মমতা। ভারতবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: বিজেপির কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। প্রচার সর্বস্ব একটি দলের তথ্যের কোনও মিল নেই। দিল্লিতে কেন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করছে? বাংলার মাটি যেমনভাবে হারিয়েছে দিল্লির মাটিও সেইভাবে হারাবে।''
সুব্রত বক্সী: বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপিকে সরানো গিয়েছে। একুশে জুলাইয়ের মধ্যে দিয়েই এই দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।আজকের দিনটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করতে চাই।
ফিরহাদ হাকিম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁর সৈনিক। মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে যাবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।
কাকালি ঘোষ দস্তিদার: আহত বাঘ আরও বেশি হিংস্র। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতে ২০১৪ থেকে অন্যায় চলছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ তৈরি করে ভারতকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করছে বিজেপি। ভারতের শ্রেষ্ঠ নেতা মমতা। ভারতবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: বিজেপির কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। প্রচার সর্বস্ব একটি দলের তথ্যের কোনও মিল নেই। দিল্লিতে কেন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করছে? বাংলার মাটি যেমনভাবে হারিয়েছে দিল্লির মাটিও সেইভাবে হারাবে।''
সুব্রত বক্সী: বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপিকে সরানো গিয়েছে। একুশে জুলাইয়ের মধ্যে দিয়েই এই দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।আজকের দিনটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করতে চাই।
ফিরহাদ হাকিম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁর সৈনিক। মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে যাবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।
ধর্মতলায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান করলেন ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত বক্সী।
ধর্মতলায় বক্তব্য রাখছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁর সৈনিক। মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে যাবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।''
দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসে পক্ষ থেকে আজ জাজেস ঘাটে ১৩ জন শহিদের উদেশ্যে তর্পন করা হল।
শহিদ দিবস নিয়ে কটাক্ষ করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''আজকে দেখছি ২১ জুলাই সারা দেশে পালিত হচ্ছে। আর ভোটের আগে যখন বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যে যেত তখন বলা হত বহিরাগত। উত্তরপ্রদেশ কী আজ জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই পালন করতে যাচ্ছেন সেখানকার মানুষদের তিনি কী চোখে দেখেন? আজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য এসব করছেন তিনি।''
গুজরাটে প্রথমবার ২১ জুলাইয়ের সভা। গুজরাটে তৃণমূল কংগ্রেসের সেরকম বড় সংগঠন না থাকলেও শহিদ দিবসের কর্মসূচি নিয়ে তৎপরতা দেখা দিয়েছে। এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও অনুষ্ঠান উদযাপিত হতে চলেছে।
ববি হাকিম এদিন শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন। এদিন তিনি বলেন, ''আজ শহিদ তর্পনে নেমেছে। সেটা নিয়ে কেউ বা কারা নাটক করছে সেটা অশোভনীয়। শহিদদের নামে নীচু করার যে প্রয়াস বিজেপি করছে তা সকল শহিদদের অপমান।''
২১ জুলাইয়ের পাল্টা বিজেপির শ্রদ্ধা। রাজঘাটে দিলীপের নেতৃত্বে অবস্থান করবে বিজেপি। কলকাতায় হেস্টিংসেও প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির।
তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ স্মরণে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন জলপাইগুড়িতে। বুধবার ডাঙাপাড়া ১৫৩ নং বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শহীদ দিবস পালন করা হয়। শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এদিনটিকে স্মরণ করা হল।
২৪-র লক্ষ্যে মোদী-শাহ-আদিত্যনাথের গড়ে একুশে জুলাই পালন করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। দিল্লির পাশাপাশি গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, অসম, পঞ্জাব, তামিলনাড়ুতেও একুশের ভার্চুয়াল সভা হতে চলেছে। দিল্লির ঐতিহাসিক কনস্টিটিউশন হলের জায়েন্ট স্ক্রিনে মমতার বক্তব্য শোনানো হবে।