Amit Shah Live: বাংলায় BJP সরকার গড়ে দিন, রাজ্যে সব শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেব
নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সভা করবেন অমিত শাহ। দার্জিলিংয়ে সভা করছে অমিত শাহ। অন্যদিকে রাজ্য আজ প্রচারে রয়েছেন রাজনাথও। দার্জিলিংয়ের সভায় বক্তব্য রাখছেন শাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সভা করবেন অমিত শাহ। দার্জিলিংয়ে সভা করছে অমিত শাহ। অন্যদিকে রাজ্য আজ প্রচারে রয়েছেন রাজনাথও। দার্জিলিংয়ের সভায় বক্তব্য রাখছেন শাহ।
Latest Updates
ক্ষমতায় এলে বাংলা মহিলাদের বাসে ট্রেনে কোনও টিকিট লাগবে না। বিনা খরচে যেতে পারবেন।
পাহাড়ে গড়ে তোলা হবে ইনডাস্ট্রিয়াল হার্বাল পার্ক। এখানে একটি মেগা ফুড পার্ক হবে। নাগরকাটায় প্রত্যেকটি জমিতে জলসেচের জন্য ৩০০০ কোটা টাকা খরচ করে একটি প্রকল্প হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চাষিদের অ্য়াকাউন্টে ১৮,০০০ টাকা সরাসরি দেওয়া হবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে গড়া হবে। কোচবিহার বিমানবন্দরকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। নেপালি, কিংবা আদিবাসী, গোর্খা সবার উন্নয়ন হবে। সব গরিব মানুষকে গ্যাস দিয়েছেন মোদীজি। মেটা ১১৫ স্কিম এনেছেন। আর দিদি ১১৫ স্ক্য়াম এনেছেন। দিদির একটা লক্ষ্য, ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা।
অনুপ্রবেশকারীদের রোখা না গেলে উত্তরবঙ্গ নিরাপদ থাকবে না। দিদির এনিয়ে কোনও চিন্তা নেই। ১৭ তারিখে পদ্ম ফুলে ছাপ দেবেন তো?
আমি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু দিদি বলেন, আমি নাকি বহিরাগত। আমি এদেশ মানুষ নয়? দিদি, শুনে রাখুন এই কমিউনিস্টরা বহিরাগত। আর তৃণমূল কংগ্রেস শুনে রাখো তোমাদের ভোটব্যাঙ্কটাই বহিরাগত। দিদি, জেনে রাখুন এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই মাটিরই সন্তান। এখানকার ভূমিপুত্র।
দিদির মনে হয় আমি বাংলায় ভোটে লড়ছি। বলেই চলেছেন, অমিত শাহ ইস্তফা দাও। কিন্তু জেনে রাখুন ২মে বাংলা মানুষ আপানাকে ইস্তফা দিতে বলবে। ইস্তফাপত্র তৈরি রাখুন।
দিদি চাওয়ালা আর চা বাগান দুটোকেই অপছন্দ করেন। দুজনের সঙ্গেই শত্রুতা দিদির। চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বাড়াননি উনি। আর চাওয়ালার ছেলে মোদীজিকে দিনরাত গালাগালি দেন। কিন্তু চিন্তা করবেন না, ক্ষমতায় এলেই চাবাগান শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৩৫০ টাকা করবে বিজেপি। চাবাগান শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল ও স্কুলও খোলা হবে। দিদি চা বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে শত্রুতা করতে পারেন। আমরা তাদের ভালোবাসি।
ক্ষমতায় এলে বাংলা মহিলাদের বাসে ট্রেনে কোনও টিকিট লাগবে না। বিনা খরচে যেতে পারবেন।উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অন্যায় করেছে তৃণমূল সরকার। আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন কেউ রুখতে পারবে না। এখানে কারও কঠিন অসুখ করলে কলকাতায় যেতে হয়। এখানেই এইমস হবে। গত ১০ বছরে এখানে তৃণমূল সরকার রয়েছে। এইমস হয়নি। আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, বাংলায় বিজেপি শাসন হলে ৬ মাসের মধ্য়ে উত্তরবঙ্গে এইমসের কাজ শুরু হবে। এখানে এখানে কোনও আইটি পার্ক হলে এখানকার যুবকদের কাজ হবে। ক্ষমতায় এলে শিলিগুড়িতে আইটি পার্ক হবে। এখানে সেন্ট্রাল ইউিভার্সিটি হবে। শিলিগুড়ি ও কলকাতার দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার। ভাজপা সরকার হলে কলকাতা থেকে সুভাষ চন্দ্র ন্যাশনাল হাইওয়ে হবে। শিলিগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গকে জোড়ার জন্য একটি সেতু হবে। ওই ব্রিজের নাম শীলা রায়ের নামে হবে।
দিদি বলেন, এই শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেবেন না। কেন দিদি? এই মতুয়া সমাজ, নমশুদ্র সমাজ এরা কী দোষ করেছে? যেসব শরনার্থী এদেশে এসেছে তারা আমাদের ভাই। কেন তারা নাগরিকত্ব পাবেন না? আমরা দেব। ওদের নাগরিকত্ব দিলে দিদির ভোট ব্যাঙ্ক চলে যাবে। আমরা এতে ভয় পাই না। ২মে বাংলায় বিজেপির সরকার গড়ে দিন। সব শরনার্থীকে নাগরিকত্ব দেব। নাগরাকাটায় বললেন অমিত শাহ।
উন্নয়ন হতে পারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে ও পঞ্চায়েত গঠন হলে। এখানে তা করা হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের ও হতো নয়। ৩৭০ ধরাা হঠিয়ে দেওয়ার পর তা এবার হচ্ছে। আমরাও ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট করাব। দার্জিলিং মিউনিশিপ্যালিটি কে দার্জিলিং মিউনিশিপ্যাল কর্পোরেশন করা হবে।
চা বাগানের শ্রমিকদের দুঃখ আমরা জানি। শ্রমিকদের জমির পাট্টা মেলেনি। সরকারে এলে ৬ মাসের মধ্যে তা করে দেব। চা বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৫০ টাকা করার লক্ষ্য রয়েছে বিজেপির।
দার্জিলিংয়ের বড় সমস্যা পানীয় জল। ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে ওই সমস্যার সমাধান করা হবে। এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়। সেই জল শোধন করে তা ঘরেঘরে পৌঁছে দেওয়া যায়। এটা করার জন্য দরদের প্রয়োজন। তা আছে মোদী সরকারের। পাহাড়ে সিঙ্কোনা বাগান ধুঁকছে। দশ হাজার মানুষের রুটিরুজি এখান থেকে হতে পারে। কথা দিচ্ছি এর ব্যবস্থা আমরা করব।
আমি জানি গোর্খা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে তার একটা চিন্তা আপনাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমাদের সংবিধান অনেক বড়। আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি পাহাড় সমস্যার সমাধান কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকার একসঙ্গে করবে। আপনাদের আর আন্দোলন করতে হবে না। রাজ্যে বিজেপি সরকার এনে দিন, ১১ গোর্খা গোষ্ঠীকে তপলিসি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া হবে।
গোর্খা ভাইদের লুকিয়ে বেড়াতে হয়েছে। শুধু রাজনীতির কারণে। এজিনিস খুব বেশি দিন চলবে না। ২ মে পাহাড়ে দীপাবলি হবে। আগুন নয়, পাহাড়ে এবার প্রদীপ জ্বলবে। উত্সব পালন করা হবে। গোর্খাদের প্রতি সুবিচার একমাত্র বিজেপিই করতে পারে। কারণ গোর্খাদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক আমরা তৈরি করিনি। এই সম্পর্ক তৈরি করেছেন ঈশ্বর। এই সম্পর্ককে শক্তি দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আসুন দেশজুড়ে থাকা গোর্খাদের দেশের মূলস্রোতে যুক্ত করা কাজের সুযোগ একাবার নরেন্দ্র মোদীকে দিন।
গোর্খা জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। দেশে যখনই দেশভক্ত জাতির নাম করা হয়েছে তখনই গোর্খাদের নাম নেওয়া হেয়েচ। ভারতমাতার রক্ষায় এই গোর্খা জওয়ানদের বলিদান দেশ মনে রাখবে। এই গোর্খাদের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল দিনের পর দিন অন্যায় করে চলেছে। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। ১২০০ বেশি গোর্খার বুকে গুলি করেছিল। আজও সেকথা ভুলিনি। আর দিদিও কম অত্যাচার করেননি। বহু লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাজারের বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, এখানে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে পাহাড়ে গোর্খাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে।
দার্জিলিং দেশের সুন্দর শহরের মধ্যে একটি। মাদ্রাজের পর দার্জিলিং মিউনিশিপ্যালিটির মর্যাদা পায়। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল এই দার্জিলিংয়ের উন্নয়নে ফুলস্টপ লাগিয়ে গিয়েছে। আমাকে বলুন এই দার্জিলিং কি একুশ শতকের দার্জিলিং? সবাই একে ব্যবহার করেছে। কেউ এর উন্নয়ন করেনি। একবার মোদী সরকারকে ভোট দিন। দার্জিলিংয়ের উন্নয়ন হবে। রাজ্যে ভাজপা-র সরকার আসছে। দার্জিলংয়ের ৩টি আসন খুর গুরুত্বপূর্ণ।
যাঁকে জেতানোর জন্য এসেছি তাঁরা হলেন নীরজ তামাং ও বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এদের দুজনকে জিতিয়ে দিদিকে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।