WB Assembly Election 2021: Mamata Live: ১০টা শোকজ করলেও কিছু যায় আসে না, আমার উত্তর একটাই

Thu, 08 Apr 2021-4:30 pm,

ডোমজুড়ের সভা থেকে রাজীবকে তোপ মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার পর আজ  বলাগড়ের সভায় ফের বিজেপি বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আজ বলাগড়ের সভায় রাজ্য পুলিসকে শান্তি রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল উত্তরবঙ্গের সভায় সিআরপিএফের বিরুদ্ধে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। আজ ভোটের আগে এলাকায় বহিরাগতদের ঢোকার ব্যাপারে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করলেন তিনি।

Latest Updates

  • আমরা ভোট চাইছি কেন? উন্নয়নের জন্য ভোট চাইছি। কৃষকদের জন্য করছি। কৃষকদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। জমির খাজনা নেওয়া হয় না। কন্যাশ্রী আমার গর্ব। স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই টাকা পায় মেয়েরা। 

    বিজেপি মানুষের পকেটে কেটেও গ্য়াসের দাম হাজার টাকা করেছে। ভোটের সময় কমাবে। পরে ২ হাজার টাকা করে দেবে। গ্যাসের বদলে ক্যাশ দিলে হবে না। বিনা পয়সার চাল দেব। আর হাজার টাকার গ্যাস দিয়ে তা ফোটাবেন! এক লক্ষ বাইরের নেতাদের নিয়ে এখানে পড়ে রয়েছে যাতে বাংলাকে গুজরাট বানানো যায়। আমি বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না।   

  • রাজীবের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন মমতা। বলেন, ওকে জিজ্ঞাসা করুন কলকাতায় কত জায়গা রয়েছে তোমার? অন্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার আগে সবাইকে বলো, দুবাই থেকে কলকাতা কত সম্পত্তি করেছো। আমি তো এসব জানতামই না। তাহলে আগেই ওকে সরিয়ে দিতাম। কল্যাণ হয়তো ওর মতো দেখতে সুন্দর নয়। কিন্তু কোথায় আগুন লাগলে ঝাঁপিয়ে পড়বে, কেউ মার খেলে রক্ষা করবে। বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে। এখন আবার গানের ক্যাসেট বের করছে। সব নাকি উনি করেছেন। উনি হরিদাস মিনিস্টার। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কী করেছে। আপনাদের কাছে আবেদন, ডোমজুড়ে আপনারা গদ্দারকে পরাজিত করবেন।  

  • টাকা দিয়ে বিহার উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে। এতবড় সাহস, এখানে মা বোনেদের গায়ে হাত দেয়! আমরা চাই শান্তিতে থাকতে। সেই লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দিন।

  • উন্নয়ন দিয়ে ভোট হোক। হিংসা দিয়ে নয়। সেন্ট্রাল ফোর্সকে দোষ দিচ্ছি না। ভোটের আগে এলাকায় লক্ষ্য রাখবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছে, যাও গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভয় দেখাও। ভোটের ক্যাম্পেন শেষ হয়ে যাওয়ার পর গ্রামে গ্রামে গিয়ে মেয়েদের গায়ে হাত দিচ্ছে। বলছে, বিজেপিকে ভোট দাও। এরকম ঘটলে থানার এফআইআর করুন। কোনও থানা এফআইআর না নিলে আমাদের বলবেন, দেখব কোন থানা এফআইআর নিচ্ছে না। কারও কোনও কথা শুনবেন না। লাইন দিয়ে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবেন। রটিয়ে দেব সব জায়গায় ১৪৪ জারি রয়েছে। কিন্তু আসল কথা হল বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ জারি থাকে। আমার ভাইরা মনে রাখবেন, ভোটের আগের দিন এলাকা পাহারা দিতে হবে। তা না হলে আগের দিন ভয় দেখিয়ে, মদ খাইয়ে ভোট নিয়ে নেবে। রাজ্য পুলিসের কাছে অনুরোধ, আপনারও আমাদের বাংলার পুলিস ফোর্স। দয়া করে আপনারা নিজেদের মাথা নত করবেন না। আপনারা মানুষকে শান্তি দেবেন। মানুষ যাতে তাদের গণতান্ত্রিত রায় দিতে পারেন তা দেখবেন। কোটি কোটি টাকা দিয়ে কাউকে কাউকে কিনে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে সব খবর আছে। 
           

  • রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপনারা তো কাজ দেখে ভোট দেবেন? আর বিজেপি কি করেছে? মদ খাওয়ানো ছাড়া, মস্তানি করা ছড়া, টাকা বিলানো ছাড়া আক কি করেছে ওরা? কেন বিজেপিকে ভোট দেবেন? গ্যাসের দাম কত! সাড়ে নশো টাকা গ্যাসের দাম। ওদের বলুন বিনা পয়সায় গ্য়াস দাও। তারপর ভোট চাইবে। বলবেন, তোমরা, রেল, বিমা, ব্য়াঙ্ক বন্ধ করে দিয়েছ। গোটা ভারত ধুঁকছে। মানুষ তো এটা চায় না। আপনারা কি চাব বলাগড় গুজরাটিরা দখল করে নিন? চান বলাগড় গুজরাট হয়ে যাক?

    আমরা ঠিক করেছি এবার বিনা পয়সায় রেশন দেব। বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব। মা বোনেরা আপনাদের ৫০০-১০০০ টাকা হাত খরচও দেব। কৃষকরা ৫,০০০ টাকা পাবেন। 

  • বলাগড়ের ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা জানেন একটা নির্দেশিকা জারি করে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি আইন করে ইটভাটা খুলেছি। আগামিদিনে যাতে আপানাদের অসুবিধে না হয় তার ব্যবস্থা করব। বলগড়ের মত্সজীবীদের জন্য অনেক কিছু করব। এখানে একটা ইকো টুরিজম পার্ক হবে।

    এবার এখানে একজন দলিত সাহিত্য অ্াকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত মানুষ মনোরঞ্জন বেপারীকে প্রার্থী করা হয়েছে। উনি রান্নার কাজ করতেন, রিক্সা চালাতেন, ঠেলা চালাতেন। একসময় উনি আমাকে চিঠি লিখেছিলেন, তাঁকে রান্নার কাজের পরিবর্তে যেন অন্য কাজ দেওয়া হয়। তার পরেই রান্নার জায়গা থেকে ওঁকে লাইব্রেরিতে বদলি করেছিলাম। পরি ওঁকে দলিত সাহিত্য একাডেমির চেয়ারম্যান করেছি। 

  • এবার মিটিংগুলো কাছাকাছি করেছি। কারণ আমার পায়ে চোট। বারবার উঠতে হচ্ছে। নামতে হচ্ছে। এই গরমে যাঁরা এসেছেন তাদের ধন্য়বাদ।

    বলাগড়ের কাছে গুপ্তিপাড়া। এটি রথের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই মেলায় একসময় গুলি চলেছিল। একটি অন্ধ ছেলে মারা গিয়েছিল। ছেলেটি বাবা আমাকে অনুরোধ করেছিল যেত তার হাতে ছেলের মৃতদেহ তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। আমি পুলিসকে বলে গিয়েছিলাম। তার পরেও মৃতদেহ বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। আমি এখান থেকে বাঁকুড়া গিয়েছিলাম। সেখানে রাত ৯টা নাগাদ খবর পেলাম মৃতদেহ তখনও তার বাবার হাতে দেওয়া হয়নি। তা জেনে বাঁকুড়া থেকে আমি আর আকবর বাঁকুড়া থেকে ফিরে এলাম। তপন দাসগুপ্তদের বললাম, আদালতে লড়ে বাডি আদায় করব। আমি আদালতে দাঁড়িয়ে সেই বডি আদায় করেছিলাম। এই গুপ্তিপাড়াকে আমি চিনি।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link