WB Assembly Election 2021: Modi Live: সরকারি সিদ্ধান্ত সরকার নেবে, তোলাবাজ নেবে না
রাজ্যে চলছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ইতিমধ্য়েই কোচবিহারের শীতলকুচি ও মাথাভাঙায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই শিলিগুড়ির সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে চলছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ইতিমধ্য়েই কোচবিহারের শীতলকুচি ও মাথাভাঙায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই শিলিগুড়ির সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Latest Updates
কৃষ্ণনগরের মানুষ, আপনারা জেনে রাখুন দিদির দুর্নীতি এরাজ্যের কৃষকদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। ভাজপা-র ডবল ইঞ্জিন সরকার সিন্ডিকেটের কোমর ভেঙে দেবে।
দিদি এখানে মেডিক্য়াল হাব গড়ার কথা বলেছিলেন। সেসব তো দূরের কথা এখানকার টিবি হাসপাতালের প্রতিটি ইট বেচে দিয়েছে। সবার ফাইল খোলা হবে। এবার কমল ছাপ, টিএমসি সাফ।
কেন্দ্রে যেভাবে বিজেপি মহিলাদের ক্ষমতায়নে কাজ করে সেভাবেই বাংলাতেও কাজ করে বিজেপি সরকার। মহিলাদের রোজগারের উপরে জোর দেবে। শিল্প কী জিনিস তা বাংলার মানুষকে ভুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। গত ৬ বছর রেকর্ড মাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগ ভারতে হয়েছে। কিন্তু দিদির দুর্নীতির জন্য এরাজ্যে বিনিয়োগ হয়নি। দিদির টিএমসি তোলাবাজিতে এক্সপার্ট।
হারের ভয়ে দিদির মুখে যে রাগ দেখা যায় তার কারণ শুধু মোদী বা বিজেপি নয়। এর কারণ সেইসব লোক যাদের সঙ্গে দিদি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দিদির সরকার মানুষকে কী দিয়েছে? বেকারি, হতাসা, লাঠি,ডান্ডা, অপমান।
যে সংখ্যালঘু সমাজকে দিদি লোভ দেখিয়েছিলেন তারাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারাও কাটমানি ও সিন্ডিকেটের জ্বালায় অস্থির। শিল্প নেই। বেকারিতে ধুঁকছে। বাংলার মহিলারা দিদিকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু যখন তাঁদের ভাই, স্বামী, পরিবারের লোকজনের উপরে হামলা শুরু হল তখন থেকে তারা মুখে ফেরাতে শুরু করল। রাজ্যের মা-বোনদের উপরে হামলা হয়েছে। দিদি চুপ করে থেকেছেন। যে মুসলিম মা-বোনরা দিদিকে এতটা ভালো বাসতেন তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন দিদি। তিন তালাক থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দিতে আইন বানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু দিদি তাদের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। দিদি মুসলিম মেয়েদের থেকে কট্টরপন্থীদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
আজকাল এখানে এক নতুন কথা শুনতে পাচ্ছি। এবার আর নিজের জন্য নয়, ভাইপোর জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা করছেন দিদি। কিন্তু বাংলার মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই প্রথম দফা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। হার বুঝতে পেরেই বাংলার বাইরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন দিদি। এখান থেকেই বারাণসীর কথা এসেছে। তাই বাংলার মানুষে ঠিক করে ফেলেছে, এবার খেলা শেষ হবে। হিংসার খেলা শেষ হবে, তোলাবাজির খেলা শেষ হবে, কাটমানির খেলা শেষ হবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা দেশে ভোট করায়। নিরপেক্ষ ভোট করায়। চার রাজ্যে ভোট শেষ হয়েছে। দিদি, সমস্য়া কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে নয়, সমস্যা আপনার হিংসার রাজনীতির। সমস্যা হল ছাপ্পা ভোট। সমস্যা আপনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের। মনে রাখবেন দিদি, এটা ২০২১ র বাংলা। এখন আর গণতন্ত্রের সঙ্গে খেলা করা যাবে না। মানুষ একজোট হচ্ছে। বাংলার গরিব, মধ্যবিত্ত আপনাকে হারাচ্ছে। দিদি, এই ভিড় দেখুন। এই ভোটে বাংলার মানুষ লড়াই করছেন। মানুষ আপনাকে হারানোর জন্য মাঠে নেমে পড়েছে।
তোষণকারী, তোলাবাজি যারা করে তাদের শিক্ষা দেবে এই জনতা। বছরের পর বছর রক্তপাত,গুন্ডাগিরি থেকে বেরিয়ে এসে শান্তির পথে চলবে বাংলা। এই পবিত্র মাটি মাফিয়াদের হাত থেকে মুক্ত হবে, অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত হবে। অভাব থাকবে না। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার বাংলাকে নতুন দিক দেখাবে। সরকারের সিদ্ধান্তে সরকার নেবে, তোলাবাজ নেবে না। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রশাসন নেবে, কোনও তোলাবাজ নেবে না। পুলিসের সিদ্ধান্ত পুলিস নেবে তোলাবাজ নেবে না।
এতদিন ধরে বাংলার কোণে কোণে সভা করছি। বিজেপিকে নিয়ে রোজই মানুষের উত্সাহ বাড়ছে। এর জন্যই দিদির ঘুম ছুটেছে। তাঁর রাগ সপ্তমে চড়ছে। দিদি বুঝতে পারছেন না। দিদি কখনও নির্বাচন কমিশনকে গালি দিচ্ছেন, কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালি দিচ্ছেন, কখনও ইভিএমকে গালি দিচ্ছেন। পরিস্থিতি এমনই নিজের পার্টির পোলিং এজেন্টকে গালি দিচ্ছেন। দিদি এতটাই হতাশ যে বাংলার মানুষের বদনাম করছে। ভোটে হার নিশ্চিত দেখে পুরনো খেলা শুরু করেছেন। হিংসা ছড়াচ্ছেন। দিদি, আপনার উপরে মানুষের ভরসা উবে গিয়েছে। আপনার দুর্নীতি রাজ্যের এই হাল করেছে।
আপনারাও পড়বেন না। বাংলাকেও পড়তে দেবেন না। এত ভিড়। এখন যদি আমাকে দেখতে না পান তাহলে ২ মে পর যখন বাংলায় বিজেপি সরকারের শপথে আসব তখন দেখে নেবেন। ২ মের পর বাংলায় আসল পরিবর্তন শুরু হবে।
হরেকৃষ্ণ, হরেকৃষ্ণ। জয় নিতাই। মহাপ্রভুর এই পবিত্র ভূমিকে প্রণাম জানাই। চৈতন্য মহাপ্রভুর পাশাপাশি কৃত্তিবাসের পুণ্যভূমি এই জেলা। বিজেপি এমন একটা দল যার আদর্শগত প্রেরণা মেলে এই বাংলা থেকেই।
এখানে এত ভিড়, আমরা ভর হয় কেউ নীচে পড়ে আহত হলে দিদি আমার বিরুদ্ধেই মামলা করে দেবে।
কৃষ্ণনগরের সভায় বক্তব্য রাখছেন মোদী।
দিদি এখন ট্রেনিং দিচ্ছেন। দশ বছরে একটি রাজ্য শাসন করার পর দিদি এখন সাধারণ মানুষকে শেখাচ্ছেন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হবে। কেমন করে বুথে হামলা করতে হবে। দেশের বাহাদুর জঙ্গিদের, নকশালদের ভয় পায় না। তারা আপনার গুন্ডাদের ভয় পাবে!
দিদির গুন্ডারা ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না। এর জন্য়ই দিদির এত রাগ। গত ১০ সালের হিসেব তিনি দেননি। কিন্তু যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মোদীকে গালাগাল করছেন। গত কয়েক বছরে কাজের হিসেব দেওয়া উচিত কী না! ভাইপোর কুকীর্তির হিসেব দেওয়া উচিত কিনা!
দিদি এখন ট্রেনিং দিচ্ছেন। দশ বছরে একটি রাজ্য শাসন করার পর দিদি এখন সাধারণ মানুষকে শেখাচ্ছেন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হবে। কেমন করে বুথে হামলা করতে হবে। দেশের বাহাদুর জঙ্গিদের, নকশালদের ভয় পায় না। তারা আপনার গুন্ডাদের ভয় পাবে!
সোশাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে দিদির এক নেতা তপসিলি জাতি, উপজাতিদের সম্পর্কে বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা বলছেন। উনি বলছেন বাংলায় উপজাতিমানুষের ব্যবহার ভিখারিদের মতো। এত অহঙ্কার! তোলাবাজের প্রতি দিদির রাগ নেই। কিন্তু যে নিরাপত্তাবাহিনী মানুষের সুরক্ষা দিতে এসেছে তাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো দেখেছিলাম। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বাংলার পর্যটনমন্ত্রী মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। উনি বলছেন বিজেপিকে ভোট দিলে মেরে বের করে দেওয়া হেব। এই হুমকি এই মেনে নেবেন? আমি প্রধানমন্ত্রী। আমরাও কি অধিকার রয়েছে যে কাউকে বলব, আপনাকে মেরে বের করে দেব?
দিদির মন্ত্রী ক্য়ামেরাকে সামনে এসব বলছেন। দিদির দশ বছরের শানের এটাই আসল সত্যি। বাংলার মানুষ আজ দিদিকে ভোট দিচ্ছেন। তাই আপনার লোক তাদের মেরে বাইরে বের করে দেবে? এত সাহস? বাংলার মানুষ এখানেই থাকবে। যেতে হলে আপনি যাবেন। দিদি বাংলা আপনার জমিদারি নয়। বাংলার মানুষে ঠিক করে ফেলেছেন, আপানকে যেতেই হবে। আপনি একলা যাবেন না। আপনার গোটা গোষ্ঠীকে এই জনতা সরিয়ে দেবে। আপনার সঙ্গে এই তোলবাজ, সিন্ডিকেট, আপনার দুর্নীতি, আপনার তোষণের রাজনীতিও যাবে।
এখানকার সন্তানদের কর্ম সাহিত্য থেকে দেশরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এতদিন দিদি ও দল যাদের দাবিয়ে রেখেছিল তারা আজ বলছে আসল পরিবর্তিন আসছে। বাংলায় বিজেপি সরকারে মানুষ ন্যায় পাবে, রাজ্যের উন্নয়ন হবে। রাজ্যে পুলিস এমনভাবে কাজ করবে যাতে মানুষ উপযুক্ত ন্যায় বিচার পাবে। প্রশাসন জনতার প্রতি দায়বদ্ধ হবে। বাংলায় কয়েক দশক ধরে যে ধরনের রাজনীতি চলছে তার বদল হবে। এবার সিন্ডিকেট মুক্ত বাংলা হবে, হিংসা মুক্ত বাংলা হবে, তোলবাজ মুক্ত বাংলা হবে, কাটমানি মুক্ত বাংলা হবে। প্রতিটি দফার ভোটের পর যেভাবে পরিবর্তনের ঢেউ জোরাল হচ্ছে তাদের দিদির ভয় ততই বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো দেখেছিলাম। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বাংলার পর্যটনমন্ত্রী মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। উনি বলছেন বিজেপিকে ভোট দিলে মেরে বের করে দেওয়া হেব। এই হুমকি এই মেনে নেবেন? আমি প্রধানমন্ত্রী। আমরাও কি অধিকার রয়েছে যে কাউকে বলব, আপনাকে মেরে বের করে দেব?
দিদি, তৃণমূল ও তাদের গুন্ডাদের সাফ জানিয়ে দিচ্ছি এই গুন্ডাগিরি আর চলতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশানের কাছে আবেদন, কোচবিহারে যা হয়েছে তার পেছনে থাকা দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হোক।
বাংলায় নববর্ষ আসছে। নববর্ষে বিজেপির জিত হবে। প্রথম ৩ দফায় বাংয়ার বিজেপির পক্ষে বাম্পার ভোট হয়েছে। আজ গোটা দেশ বাংলার মানুষের ইচ্ছাশক্তি দেখে গর্ব বোধ করছে। এই ইচ্ছাশক্তি সোনার বাংলার শক্তি। কোচবিহারে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। বিজেপির পক্ষে জনসমর্থন দেখে দিদি ও তার গুন্ডারা ঘাবড়ে গিয়েছে। ক্ষমতা চলে যাচ্ছে দেখে দিদি এই অবস্থায় পৌঁছেছেন।
আপনারা জানেন আমি চা-ওয়ালা। গোটা উত্তরবঙ্গ আমাকে অনেক আর্শীবাদ দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষ আজ বুঝিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল সরকার এবার যাচ্ছে।
চারদিকে শুধু মানুষ দেখতে পাচ্ছি। এই জায়গা খুব ছোট মনে হচ্ছে। যারা এই রোদও দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের কষ্ট বিফলে যাবে না।
নমস্কার ভাইবোনেরা। নমস্কার উত্তরবঙ্গ। কেমন আছেন আপনারা।