নির্মল পাত্র: একদিনে ২৪ জনকে কামড়! রেহাই পাচ্ছেন না পূণ্যার্থীরাও! কুকুরের উপদ্রবে এবার আতঙ্ক ছড়াল তারকেশ্বরে। স্থানীয় ব্লক ও পুর প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে তারকেশ্বরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়়াচ্ছে একটি পাগলা কুকুর। সামনে যাকে পাচ্ছে, তার শরীরেই কামড় বসিয়ে দিচ্ছে! গতকাল, শনিবার রাতে কুকুরে কামড়ে হন ১৮ জন। এদিন সকালেও ২০-২৫ জনকে কামড়ে দিয়েছে সারমেয়টি! পরিস্থিতি এমনই যে, যে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে রীতিমতো লাইন পড়ে গিয়েছে রোগীদের। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার শুভজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টা ২৪ ঘণ্টার ৪০ জন কুকুর কামড়ানো রোগী এসেছেন হাসপাতালে। সকলেই যথাযথ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্লক ও পুরপ্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার মানুষ।


আরও পড়ুন: Garbeta Accident: গড়বেতায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৩ জনের


এদিকে কয়েক দিন আগে তারকেশ্বরে মৃত্যু হয় এক মহিলার। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালতে এসেছিলেন খড়গপুরের বাসিন্দা  স্বপ্না গিরি। সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের দাবি, ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছিলেন স্বপ্না। তারকেশ্বরে পৌঁছনোর পর, স্টেশনে স্নান করেন। কিন্তু তাতেও কোনও উপকার হয়নি, বরং অসুস্থতা আরও বাড়ে। স্বপ্নাকে যাওয়া হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


তারকেশ্বরে এখনও নিখোঁজ শ্রীমন্ত দাস ও সুখদেব বিশ্বাস নামে দুই পুণ্যার্থী। পশ্চিম মেদিনীপুরের কামারা চক্রপুকুর এলাকায় বাসিন্দা শ্রীমন্ত, সুখদেবের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। উত্তরবঙ্গে জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলে পূণ্যার্থীরা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১০ জন। আহত ১৬ জন। তাঁদের পরিবারকে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকী, নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।


আরও পড়ুন: Kakdwip: আতঙ্ক বাড়ছে সাগর-নামখানায়, কোটালের জল ঢুকে গেল কাকদ্বীপে


এর আগে, পাগলা কুকুরে তাণ্ডবে আতঙ্কে ছড়িয়েছিল মেদিনীপুর শহরে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ৪০ জনকে কামড়েছিল কুকুরটি! সন্ধ্য়া নামলেই  পথ চলতি মানুষে গায়ে লাফিয়ে পড়ত সারমেয়। তারপর? সরাসরি পায়ে কামড়। শুধু তাই নয়, কামড় দিয়ে আবার পালিয়ে যেত সে। আহতদের অনেকেই ভর্তি ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে। কেউ কেউ আবার চিকিৎসা করিয়েছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)