নিজস্ব প্রতিবেদন:  মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমারকে লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁকে গা ঢাকা দিতে সাহায্য করছেন। বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



চুঁচুড়ায় লকেট বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজীব কুমারকে লুকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু খারাপ লাগে একজন গোয়েন্দা প্রধান এইভাবে পালিয়ে বেরাচ্ছেন দিনের পর দিন। তাহলে চোর ডাকাত নিয়ে কী বলব!”


প্রসঙ্গত,  রাজীব কুমারের এখনও কোনও হদিশ পাননি সিবিআই আধিকারিকরা। সব আঁটঘাঁট বেঁধে ময়দানে নেমেও রাজীবের কোনও সূত্রই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। এদিকে, আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব কুমার। আদালত রাজীবকে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিয়েছে-  ঘটনা পরম্পরায় এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সারদাকাণ্ডে এখন সিবিআই-এর নজরে অন্যতম প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছে রাজীব কুমার। তাঁকে এখনও খুঁজে না পাওয়ায় দিল্লি থেকেও সিবিআই-এর বিশেষ দলের ওপর বাড়ছে চাপ-  এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।


শুধু রাজীব কুমার নিয়েই নয়, বাংলায় এনআরসি আতঙ্ক নিয়েও তৃণমূল সরকারকে এক হাত নেন লকেট। তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তৃণমূল। আর সেই কারণেই লোকে আত্মহত্যা করছে। আগে নাগরিকত্ব বিল হবে, তারপর এনআরসি হবে।” আতঙ্কিত হওয়ার কিচ্ছু নেই বলে এদিন রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি।


গণিতে গবেষণা করে সরকারি চাকুরিজীবী, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে একাধিক পাত্রীর সঙ্গে প্রতারণা!


 তিনি বলেন, “সবাই নাগরিকত্ব পাবে কিন্তু যারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, এখানে এসে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করছে তাদের বিতারিত করা হবে। হিন্দুদের একটা ঐক্য তেরী হয়েছে এখানে।”বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ঢোকার পিছনে তৃণমূল নেতামন্ত্রীদেরই হাত রয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।


এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক হাত নেন লকেট। তিনি বলেন, “রাজ্যে যাঁরা আত্মহত্যা করছেন, তাঁরা আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। এনআরসি নিয়ে অযথা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর ফল ভোগ করতে হবে।”