গণিতে গবেষণা করে সরকারি চাকুরিজীবী, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে একাধিক পাত্রীর সঙ্গে প্রতারণা!

অভিযোগ, বিয়ের কথা কিছুদূর এগোতেই একদিন অছিলায় টাকা চেয়ে বসে যুবক। তরুণী দিয়েও দেয় টাকা। কিন্তু তারপর থেকেই তরুণীর সঙ্গে ধীরে ধীরে যোগাযোগ, কথা বলা কমিয়ে দেয় সে। পরিবারের তরফেও তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Updated By: Sep 25, 2019, 01:09 PM IST
গণিতে গবেষণা করে সরকারি চাকুরিজীবী, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে একাধিক পাত্রীর সঙ্গে প্রতারণা!

নিজস্ব প্রতিবেদন:   প্রথম সারির সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল পাত্রীর খোঁজে। নিজের পরিচয় দিয়েছিল গণিতে পিএইচডি, সরকারি চাকুরিজীবী। সেই দেখেই বিয়েত রাজি হয়ে যেতেন পাত্রী, পাত্রীর পরিবার। কথাবার্তা চলতে থাকত, আর তারই ফাঁকে নানা অজুহাতে পাত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত এই কীর্তিমান। এইভাবে একাধিক পাত্রীকে বোকা বানিয়েছে সে। শেষমেশ আরও এক তরুণীর সঙ্গে এই কাজ করতে গিয়ে শ্রীঘরে যুবক।

 

নাম শুভেন্দু রায় চৌধুরী, বাবার নাম সমির রায় চৌধুরী, নিবাস মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম। গণিত নিয়ে গবেষণা করেছেন, পেশা- সরকারি কর্মজীবী। সংবাদপত্রে এইভাবেই বিজ্ঞাপন দিয়েছল এই যুবক। সম্প্রতি এক তরুণীর পরিবার এই যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা শুরু করে। অভিযোগ, বিয়ের কথা কিছুদূর এগোতেই একদিন অছিলায় টাকা চেয়ে বসে যুবক। তরুণী দিয়েও দেয় টাকা। কিন্তু তারপর থেকেই তরুণীর সঙ্গে ধীরে ধীরে যোগাযোগ, কথা বলা কমিয়ে দেয় সে। পরিবারের তরফেও তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিয়ে ভাঙার পর থেকেই নিঃসঙ্গতায় ভুগত অমিত, কিন্তু বাবা-মাকে খুন কেন? সোদপুর হত্যাকাণ্ডে ধোঁয়াশায় পুলিস

পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, একইভাবে এই যুবক আরও অনেক তরুণীর সঙ্গেই প্রতারণা করেছে। টাকা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি সে। শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। পুলিস ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। 

সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে, অনেকেই মেয়ে বা ছেলের বিয়ে দেন। তবে এবিষয়ে একটি বিষয় সর্বদাই মাথায় রাখার প্রয়োজন, বিজ্ঞাপনের সত্যতা আগে যাচাই করে নিন। পাত্রী বা পাত্রের পরিবার সম্পর্কে নিজে থেকে সব খবর সংগ্রহ করুন, তারপরই সিদ্ধান্ত নিন।

.