নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন বুথে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ। সকাল ছটার পর থেকেই ভোটদাতারা আসতে শুরু করেছেন ভোটকেন্দ্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার ভোটে এই দুই কেন্দ্রকে উত্তজনা বেশ চড়া। তবে দুই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। আলিপুরদুয়ার নিউটাউন উচ্চবিদ্যালয়ে রয়েছে দুটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। এখানে নেই কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভরসা শুধু ওয়েব ক্যামেরা। জ্ঞণদা দেবী গার্লস হাইস্কুলে নেই কোনও বাহিনী। তবে রয়েছে রাজ্য পুলিস।



আরও পড়ুন-আজ প্রথম দফায় দেশের ৯১টি আসনে ভোটগ্রহণ


আলিপুরের ২১৯ ২২০ নম্বর বিবেকানন্দর হাইস্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে ৪ জন। ভোটদাতারা আসতে শুরু করেছে। পাশেই ভুটান বর্ডার। এর জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলিপুরে যেসব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেখানে ভরসা ওয়েব কাস্টিং। ইতিমধ্যেই নাগ্রাকাটা বিধানসভার ক্ষুদিরাম পল্লীর আইভিল বারসা বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।


উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আজ রাজ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার আসনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।


এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের দিকে নজর সকলেরই। কারণ, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে আসা নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে আসা পরেশচন্দ্র অধিকারীকে। এছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দ রায় ও কংগ্রেসের পিয়া রায়চৌধুরী।


কোচবিহারে মোট বুথ ২০১০টি। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ সংখ্যা ১২৫৩। বাকি ৮৫৭টি বুথে ভোট হবে রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তায়। কোচবিহারে মোট ৪৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বুথ পাহারায় থাকবে ৪৫ কোম্পানি।


কোচবিহারের ১টি ভোটকেন্দ্রে ২টি বুথ পর্যন্ত ৪ জন করে আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  ১টি ভোটকেন্দ্রে ২টির বেশি বুথ থাকলে মোতায়েন থাকবে ৮ জন করে আধাসেনা।  বাকি ২ কোম্পানির মধ্যে ১ কোম্পানি আধাসেনা কুইক রেসপন্স টিমে কাজ করবে। আর ১ কোম্পানি বাহিনী স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় থাকবে।


আরও পড়ুন-অডিয়ো: আধা সেনাকে কাটিয়ে কীভাবে ছাপ্পা? কর্মীদের বোঝালেন তৃণমূল নেতা


অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারে সম্মুখসমরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হয়েছেন গতবারের সাংসদ দশরথ তিরকে। বিজেপির প্রার্থী জন বারলা। এছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন আরএসপি ও কংগ্রেসের প্রার্থী।


আলিপুরদুয়ারে মোট বুথ ১৮৩৪টি। তারমধ্যে ১৮৩৪টি বুথের মধ্যে ৫৪৪টি বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে মোট ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে মোট ৮১৪টি বুথে। ১০২০টি বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।


কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, দুই জেলা মিলিয়ে এমন ৫৩৩টি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্য়বস্থা থাকছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, মোবাইল নিয়ে বুথে ঢোকা যাবে না। ভোট করাতে গিয়ে কোনও ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে নিয়ম অনুসারে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।