নিজস্ব প্রতিবেদন: অ্যাসিড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারলেন না অর্জুন সিং। ভাটপাড়া পৌরসভার বোর্ড ভেঙে গেল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে আস্থা ভোটে হেরে গেলেন অর্জুন সিং। ২২/১১ ভোটে হেরে যান অর্জুন সিং। এরফলে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরতে হল অর্জুন সিংকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ভাটপাড়ায় নতুন পুরপ্রধানের জন্য আবেদন করা হবে। এপ্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, ''পুরপ্রধান তৃণমূলের হলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। চাপ দিয়েই কাউন্সিলরদের ভোট দেওয়া হয়েছে।'' তবে অর্জুন সিং এদিনও দাবি করেছেন, অনাস্থা প্রস্তাবের দিন ৩৩ জনের মধ্যে ৮ জন বাদ দিয়ে কেউই তৃণমূলের পক্ষে থাকবেন না। এটিকে 'কৌশলী হার' বলে উল্লেখ করেছেন অর্জুন সিং।  
এদিন আস্থাভোটের শুরু থেকেই ব্যাপক চেঁচামেচি শুরু হয় পৌরসভায়। 'ওপেন ব্যালট' থেকে 'গোপন  ব্যালটে' ভোট করানো হয়। বিরোধিতায় বাতিল হয়ে যায় ওপেন ব্যালট ভোট প্রক্রিয়া। অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকেই ভাটপাড়া পৌরসভা চত্বর ছিল পুলিসে-পুলিসে ছয়লাপ। লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্জুন সিংয়ের অ্যাসিড টেস্ট। ১৮ জন কাউন্সিলরের সমর্থন পেলেই বোর্ড গঠন করতে পারত বিজেপি। ভাটপাড়া মোড় থেকে আর্য্য সমাজ মোড় পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।


প্রথম দফা নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা খতিয়ে দেখতে আজ মুর্শিদাবাদে দুবে
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২ তারিখ পাশ হয় ভাটপাড়া পৌরসভার ভোট অন অ্যাকাউন্ট। অর্জুনপন্থী ১২ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পাশ হয় ভোট অন অ্যাকাউন্ট। উল্লেখ্য, এর মধ্যে ছিলেন এক সিপিএম কাউন্সিলরও।  
অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগদানের পরই ভাটপাড়া পুরসভা নিয়ে চরম নাটক শুরু হয় রাজনীতির ময়দানে। অর্জুনকে পদচ্যূত করতে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ফলে আটকে যায় পুরসভার বাজেট প্রস্তাব। ৩৫ আসনের ভাটপাড়া পুরসভায় ১ জন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩৪ জনের মধ্যে ৩৩ জনই তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, তাঁদের হাতে রয়েছে অন্তত ২২ জন কাউন্সিলর। গত মাসে ভাটপাড়ায় এক সভায় ১৯ জন কাউন্সিলরকে মঞ্চে হাজির করায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব।