নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরেও বিজেপির প্রচার গাড়িতে বাজছে বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া বিতর্কিত থিম সং। কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরেও কীভাবে বিজেপির প্রচার গাড়িতে এই গান বাজছে,  তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে শুরু করেছে। আসানসোলের এই ঘটনায় দানা বেঁধেছে বিতর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


যদিও, থিম সং নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়ের দাবি, নির্বাচন কমিশন থেকে গান বন্ধ করার কোনও চিঠি এখনও তিনি হাতে পাননি। একটি চিঠি পেয়েছেন, যাতে গানের প্রতিটি লাইন বদলাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজেপির লিগ্যাল সেল দেখছে। প্রসঙ্গত, গতকাল-ই থিম সং বিতর্কে কড়া পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া বিজেপির থিম সংটি নিষিদ্ধ করে কমিশন। বাবুলের গানের প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কমিশন।


উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গানটি সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। ভাইরাল হয়ে যায় গানটি। অভিযোগ, 'ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল' শীর্ষক এই গানের ছত্রে ছত্রে সমালোচনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের।  নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হলেও, এই গান প্রকাশের আগে কমিশনের অনুমতি নেননি বাবুল। মিডিয়া সার্টিফিকেশন ছাড়া কেন থিম সংটি ইউটিউবে তুলেছেন, সে প্রশ্ন তুলে এরপরই বাবুল সুপ্রিয়কে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন, 'কত বড় এসপি দেখে নেব?' প্রধানমন্ত্রীর সামনেই 'হুমকি' মুকুল রায়ের


শোকজের প্রেক্ষিতে বাবুল দাবি করেন, গানটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। গানটি নিয়ে পরামর্শ নিতে হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকজন দলীয় কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে গানটি। তিনি নিজে গানটি প্রকাশ্যে আনেননি। মিডিয়া সামনে এনেছে। কিন্তু বাবুলের সেই উত্তরে খুশি হয়নি কমিশন।


কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, গানটির প্রচার নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় যে দাবি করেছিলেন, তার পুরোটা সত্যি নয়। কমিশন বলে, "বাবুল নিজে তাঁর গান টুইট করেছিলেন। অথচ তিনি দাবি করেছিলেন, মিডিয়া তাঁর গান বাইরে বাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার ছিল না। কিন্তু, কমিশনের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত যে বাবুল নিজেও তাঁর গান টুইট করে সকলের সামনে এনে ছিলেন।"