নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে মোট ৩ বার চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী না সরানোর জন্য চিঠি লিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে 'অনুরোধ' করেছিলেন মুখ্যসচিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরানো-ই হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজই জঙ্গলমহল থেকে উত্তরবঙ্গে সরছে বাহিনী। ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, কালই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাইরে থেকে বাহিনী নয়। প্রথম দফার ভোটে দার্জিলিং ও জঙ্গলমহলে মোতায়েন বাহিনীকেই ব্যবহার করা হবে। এই মুহূর্তে পাহাড় ও জঙ্গলমহলে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এখন প্রথম দফার ভোটে ১১ এপ্রিল আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। প্রথম দফার ভোটে ইতিমধ্যেই ১০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ৩০ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে, যার সবটাই এই মুহূর্তে রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে। মোট ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় হবে প্রথম দফার ভোট।


প্রসঙ্গত, চিঠিতে মুখ্যসচিব লিখেছিলেন, জঙ্গলমহল থেকে বাহিনী সরালে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত উন্মুক্ত হয়ে যাবে। সেই সুযোগে মাওবাদীরা ফের জঙ্গলমহলে ঢুকে পড়তে পারে। ডিজি শ্রী বীরেন্দ্র স্পেশাল অবজার্ভার বিবেক দুবেকে অনুরোধ করেছিলেন বাহিনী তুলে না নেওয়ার জন্য। বাহিনী তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।


আরও পড়ুন, 'বাংলায় কোনওদিন এনআরসি হবে না', কোচবিহারের মাথাভাঙায় আশ্বাস মমতার


কিন্তু শেষপর্যন্ত জঙ্গলমহল থেকে বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্ত-ই চূড়ান্ত হয়। কমিশনের যুক্তি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের একাংশ ও পশ্চিম মেদিনীপুর আর মাওবাদী অধ্যুষিত নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। একমাত্র ঝাড়গ্রামকে শুধু মাওবাদী অধ্যুষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই হঠাত্ করে কোনও ঘটনা ঘটবে, এমন আশঙ্কা ভিত্তিহীন। পাশাপাশি, রাজ্যের মধ্যেই থাকায় দরকারে বাহিনী সরানো সহজ হবে। এখন কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে? তা চূড়ান্ত করতে কমিশনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, এডিজি সশস্ত্র পুলিশ রণবীর কুমার প্রমুখ।