নিজস্ব প্রতিবেদন : বিরোধীদের দাবিতে সিলমোহর দিল কমিশন। ষষ্ঠ দফা ভোটেও ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।  রাজ্যে আরও ৩০ কোম্পানি বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। রবিবারের ভোটের নিরাপত্তায় থাকছে মোট ৭৭০ কোম্পানি বাহিনী। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েনেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ষষ্ঠ দফার ভোটে প্রথমে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় ৬৮৩ কোম্পানি বাহিনী থাকবে ভোটের নিরাপত্তায়। কমিশন জানায় ৭৩.০৫% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে কমিশন জানায় ষষ্ঠ দফার নিরাপত্তায় ৭৪০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। এদিকে পঞ্চম দফার মতো ষষ্ঠ দফাতেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোটের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। বুধবার রাতভর সব বুথে বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভে বসেন বিষ্ণুপুরের বিরোধী প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তবে কমিশনের যুক্তি ছিল জঙ্গলমহল ছাড়া অন্য কোথাও সব বুথে বাহিনীর প্রয়োজন নেই। কিন্তু শুক্রবার সকালেই ১০০%  বুথে বাহিনী রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।


কমিশন সূত্রে খবর, কমিশনের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছেও বাহিনী বাড়ানোর অনুরোধ জানান বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। দু একটি বিচ্ছিন্ন অশান্তি ছাড়া এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে মোটের ওপর শান্তিতে ভোট হয়েছে। এই অবস্থায় তাই বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশন। তাই শেষপর্যন্ত আরও ৩০ কোম্পানি বাহিনী বাড়িয়ে কমিশন সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, বারাকপুরের ভোট দেখে এবার কুইক রেসপন্স টিমের ওপর বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। কিউআরটির পাশাপাশি থাকছে কুইক অ্যাকশন টিম বা কিউএটি। কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ থাকছে কিউএটির ওপর।


আরও পড়ুন, ভারতীকে নিয়ে রিপোর্ট তলব কমিশনের,প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি তৃণমূলের,বিজেপির অভিযোগ ষড়যন্ত্রের


জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দাপট না থাকলেও নিরপত্তায় ঢিলে দিচ্ছে না কমিশন। জঙ্গলমহলে কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েনে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। আইইডি থেকে বাঁচতে জঙ্গলমহলে বাহিনীকে গাড়ি ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালভার্ট সহ আইইডি বসানো যায় এমন সব জায়গা পরীক্ষা করে তবেই এগোতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে। জঙ্গলমহলে বাহিনীকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পরতে বলা হয়েছে। সঙ্গে পর্যাপ্ত অস্ত্রও রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। জঙ্গলমহল ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা সিল করা হচ্ছে। কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে বহিরাগতদের গতিবিধির ওপর।