নিজস্ব প্রতিবেদন : "যার যেমন চরিত্র, তাঁকে নিয়ে তেমনই আলোচনা হয়।" লোকসভা ভোটে প্রার্থী ঘোষণা হতেই ফেসবুকে মিমি ও নুসরত ট্রোলড হওয়ার প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। পরে অবশ্য 'ঢোঁক' গিলে কথা ঘুরানোরও চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেন, "ওঁদের ফিল্মি ক্যারেক্টারের কথা বলছি।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে মিমি চক্রবর্তী ও বসিরহাট আসন থেকে নুসরত জাহাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার দুই টলিউড অভিনেত্রী। দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে তৈরি কুরুচিকর মিম-এ ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।


আরও পড়ুন, তৃণমূল প্রার্থী 'বন্ধু' মুনমুনের সঙ্গে 'কফি' খেতে চান বিজেপির বাবুল


এপ্রসঙ্গে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রথমে তিনি বলেন, "আমার আপনার সম্পর্কে এধরনের আলোচনা হয় না। যার যেমন চরিত্র তাঁকে নিয়ে তেমনই আলোচনা হয়।" পরে অবশ্য কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে তিনি বলেন, "ওদের ফিল্মি ক্যারেক্টারের কথা বলেছি। এধরনের আলোচনা আমরা করিনা। রুচিতে বাধে।"


একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আমাদেরও রূপা, লকেট যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিল, তখনও তাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ঢিল মারলে তো পাটকেল খেতেই হবে।"  তবে মিমি চক্রবর্তীকে যাদবপুর আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী করায় তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বলেন, "যে যাদবপুর থেকে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, সুগত বসুর মতো ব্যক্তিত্ব জিতে সংসদে গিয়েছেন, সেখানে মিমির মতো প্রার্থী! উনি কি বাংলার মুখ না রাজনীতির মুখ?" প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের।


আরও পড়ুন, ঘাসফুলে ভাই সঞ্জয়, দাদা অর্জুনকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল


উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হওয়ার ঘটনায় গতকাল-ই মুখ খুলেছিলেন দুই অভিনেত্রী। মিমি বলেন, "নারীদের একটু  সন্মান করুন। আমি মানুষকে হতাশ করব না। আমাদের মুখ সবসময় দেখা যায়, হাইলাইট হয়।" অন্যদিকে নুসরত বলেন, "যাঁরা এই ধরনের ট্রোল করছেন, তাঁদের রুচির অভাব আছে। মহিলাদের অসম্মান করার জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র। আগেও আমাদের ট্রোল করা হয়েছে। এখন রাজনীতিতে এসেছি, এখনও ট্রোল করা হচ্ছে।"