কমলিকা সেনগুপ্ত 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাটিগণিতের অঙ্ক বলছে, তৃণমূলের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। আর সে কারণেই আলিপুরদুয়ারে ভোট ভাগাভাগি রোখার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারোবিশার সভায় তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াবে তৃণমূল। 


আলিপুরদুয়ার আসনটি ছিল আরএসপি-র ঘাঁটি। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে ক্রমেই উঠে আসছে গেরুয়া শিবির। গত নির্বাচনেও তৃণমূলকে কড়া টক্করের মুখে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। কী রকম?             


২০০৯ এবং ২০১৪ তৃণমূলের ভোট ছিল ২৯ শতাংশ। আরএসপির ভোট ৪১.১১ শতাংশ থেকে ২০১৪ সালে হয়েছিল ২৭.৩০%। আর ২০০৯ সালে বিজেপির ২১ শতাংশের ভোট বেড়ে ২০১৪ সালে পৌঁছয় ২৭ শতাংশ। বাম ভোটে ভাঙন যে ধরতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্যের কয়েকটি উপনির্বাচন। আর বামেদের ক্ষয়িঞ্চুতার সুযোগে ফুলেফেঁপে উঠছে বিজেপি। আলিপুরদুয়ারে আরএসপি-র ভোট যেভাবে একধাক্কায় কমেছে, তা চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। আর সে কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিলেন, বিজেপিকে ঠেকাতে পারে শুধুমাত্র তৃণমূল। দিল্লিতে সরকার গড়বে তাঁর দলই।


অসম-ভুটান-বাংলাদেশ লাগোয়া আলিপুরদুয়ার। এবার বিজেপির জন বারলা। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,''জন বারালা আগুন লাগিয়েছিল। ওকে নির্বাচিত করলে করলে আবার আগুন লাগাবে।
 যে অত্যাচার করেছিল তাঁকেই প্রার্থী করে আবার আগুন লাগাতে চায় বিজেপি। আমরা দাঙ্গা লাগাতে দেব না। ওরা উগ্র হিন্দুত্বে বিশ্বাস করে''।



আরএসপি-র ঘাঁটিতে বিজেপিই যে মূল বিরোধী হয়ে উঠেছে, তা বোঝা গিয়েছে মমতার ভাষণে। আগাগোড়াই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনের সময় আসে, শুধু হিন্দু মুসলমান করে। অসম সীমানা দিয়ে টাকার ব্যাগ পাঠাচ্ছে বিজেপি। এনআরসি করে সবাইকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। ওরা শুধু চায়, আরএসএস-বিজেপি থাকবে, বাকিদের তাড়িয়ে দেবে। 


আরও পড়ুন- পুরস্কার থেকে স্কলারশিপ- সব সুবিধাই নিয়েছিলেন, নাসিরুদ্দিনদের বিঁধলেন মোদী