কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাহাড়ের শৃঙ্ঘজয় করতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মনোভাবেই স্পষ্ট, 'এভার নয় তো নেভার'। আর তাই পাহাড় জিততে ভোট বাটোয়ারা রুখতে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,''সিপিএম কেরলের দল। এখানে লড়বে কেন? আমরা তো ওখানে যাইনি''। 


উত্তরপ্রদেশ ও বাংলা মিলে দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে বলে দাবি করেছেন অখিলেশ যাদব। ওই মন্তব্য সমর্থন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মমতা বলেন,''সিপিএম শুধু কেরলের দল। কংগ্রেস সব জায়গায় নেই। কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে লাভ নেই। আমরা এখানে শক্তিশালী, ওরা অন্য জায়গায় লড়াই করুক। এখানে আমরা লড়বে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়ব। আমি চাই সব জায়গায় আঞ্চলিক দলগুলি ভাল করুক।মমতা আরও বলেন,''সিপিএম কেরলের দল। ওরা এখানে কেন ভোট কাটছে। আমি তো কেরলে ওদের ডিসাটার্ব করি না।কংগ্রেস সাইনবোর্ড। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দেওয়া। ভোট বাটোয়ারা করতে দেবেন না''। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন দার্জিলিঙের বিদায়ী সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। সে কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন,''আলুওয়ালিয়া দার্জিলিং থেকে পালিয়ে গিয়েছে বর্ধমানে''।



দার্জিলিঙে কেন্দ্রটি এখনও তৃণমূলের অধরা। ওই কেন্দ্রে এবার মোর্চার বিনয় তামাং গোষ্ঠীর  অমর সিং রাইকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এসআই খুনের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত বিমল গুরুং। পাহাড়ে মোর্চার দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় সুযোগ রয়েছে তৃণমূলের। আর সেই সুযোগই কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পথটা ততটাও মসৃণ নয়। পলাতক বিমল গুরুং পাহাড়ের বাইরে থেকেও কলকাটি নেড়ে চলেছেন। তাঁর পিছনে বিজেপির হাত যে রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ অমিত শাহ। দীর্ঘদিনের শত্রুতা ভুলে হাত মিলিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও জেএনএলএফ। দুই দলের বন্ধুত্বের অনুঘটক যে বিজেপি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। মোর্চা-জেএনএলএফ জোটের বেছে দেওয়া রাজু বিস্তকে পাহাড়ে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। ফলে অঙ্কের বিচারে বিজেপিই শক্তিশালী। সেজন্য সিপিএম-কংগ্রেসের ভোটও নিজেদের ইভিএমে পুরতে চাইছেন মমতা।           


আরও পড়ুন-আমদানি করা হয়েছে, এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়, রাম নবমী নিয়ে বললেন মমতা