নিজস্ব প্রতিবেদন: গো পাচারকারী, মানব পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বাংলা মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরের সভায় আরও একবার মমতার বিরুদ্ধে অরাজকতার অভিযোগ তুললেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়,''তৃণমূলের হামলার হাত থেকে অমিত শাহকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা''।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন,''বাংলায় একমাত্র গোতস্কর, মানব পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীরাই মুক্ত হয়ে বিচরণ করতে পারে। তাদের সঙ্গে রয়েছে দিদির তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা। গতকাল তৃণমূলের হামলার হাত থেকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে অমিত শাহকে বাঁচিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা''। মমতার উদ্দেশে মোদীর হুঙ্কার, কান খুলে শুনে রাখুন, দিদি তোমার ঘরে এসে বলছি, ভাইপোর এলাকায় বলছি, গোলা, গালি, অত্যাচারের মাঝে মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলি আমি। বদলার নয়, বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলা।




ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন বলেও দাবি করেন মোদী। বলেন,''২৩ মে ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগর ধাক্কা দেবে দিদিকে। সেদিন গণতন্ত্রের শক্তি বুঝতে পারবেন। জরুরি অবস্থাতেও ক্ষমতাধারীদের অহংকার ছিল। কিন্তু মানুষ ভোট দিয়ে সব অহংকার ভেঙে গিয়েছে''। ২৩ মে আরও একবার মোদী সরকার হবে বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখল করে অফিস নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন মোদী। বলেন, ''তৃণমূলের ঐতিহ্য মেনেই রাস্তা দখল করে অফিস করেছেন ভাইপো। আরে দিদি এত কামিয়েছেন,  তোলাবাজি করে জমিয়েছেন, তবুও ভাইপো নিজের অফিসের জন্য সড়ক দখল করেছে! এটুকু তো নিয়ম মেনে কাজ করুন। আসলে স্বভাব যায় না''। তাঁর অফিস বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে জানতে পেরে মোদী ভেঙে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কথায় ''আমদাবাদের মণিনগর থেকে বিধায়ক হতাম। সেখানে একটা অফিস ছিল। ভাড়ায় নিয়েছিলাম। ওই বাড়ির মালিক এক-দু ফুট জমি দখল করে বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। আমার অফিস ছিল। তা সত্ত্বেও অফিসারদের বলেছি, বিধায়কের অফিস খালি করো। বেআইনি অফিস ভেঙে দিন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের অফিসই ভেঙে দিয়েছিলাম''।


 


আরও পড়ুন- হাতে আগে থেকে চিড় ছিল, স্বীকার করলেন বিদ্যাসাগর কলেজে তৃণমূলের সেই ছাত্র নেতা