নিজস্ব প্রতিবেদন: কোচবিহারের তৃণমূল নেতার ফাঁস অডিও ক্লিপ নিয়ে পড়ে গিয়েছে হইচই। ওই অডিওক্লিপে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খোকন মিঞা দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, দরকারের গতবারের মতো ছাপ্পা ভোট দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে একটাও ভোট যেন বিরোধীরা না পায়। অডিওক্লিপটিতে তাঁর কণ্ঠস্বর নয় বলে দাবি করেছেন খোকন মিঞা। তাঁর দাবি, গোটাটাই বিজেপির ষড়যন্ত্র।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 ওই অডিওক্লিপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই অডিওতে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা খোকন মিঞা চ্যাংড়াবান্ধায় দলীয় কর্মীদের সভায় বলছেন, ''একাশো শতাংশ করতে হবে। অন্য কোনও দলকে একটাও ভোট দেওয়া যাবে না। যদি কেউ মনে করে, কয়টা ভোট বিজেপিকে দেব, আর কিছু ভোট তৃণমূলকে দেব। এটা হলে চিহ্নিত করা হবে, বাস্তব বলছি, ভোটের পর সেই সমস্ত লোকগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। এটা একদম দলীয় নির্দেশ''।


খোকন মিঞা আরও বলেন,''আমাদের বুথে আধা সামরিক বাহিনী আসবে না। নরেন্দ্র মোদী যা করছে করছে। মাত্র একশোটার মধ্যে ৪০টা বুথে আধা সামরিক বাহিনী থাকবে। আজ থেকে দূরবর্তী বুথে সেনা ও প্রিসাইডিং অফিসার দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার হোঁদলপুরে কোনও আধা সামরিক বাহিনী থাকবে না''।


রাজ্য প্রশাসন যে তাঁর হাতের মুঠোয় তাও ফলাও করে বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে। তাঁর দাবি, পুলিস থেকে বিডিও সব আমার নিয়ন্ত্রণে। সব আমার কর্মচারী। তাঁরা অফিসার হতে পারে কিন্তু আমার কর্মচারী। আমরা দুজন বস। আজ সারারাত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হবে। কোথাও কোথাও কী করতে হবে, কী কী বুথে কী করতে হবে তা চিহ্নিত করতে হবে। এই ভোটটা কঠিন। ভোট একদম বাস্তব কথা, প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে সেটিং করবেন। এমনকি ছাপ্পা ভোট দেওয়ার নিদানও দিয়েছেন খোকন মিঞা।



কোচবিহারে বিজেপি নেতা উৎপল কুমার দেব বলেন, ''ওই অডিও ক্লিপে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, খোকন মিঞা ঘরোয়া সভা থেকে এমন নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু এসব করে এবার ওরা পার পাবে না। মানুষ রুখে দেবে''। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে  তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিঞা বলেন, ''পুরো বিষয়টি সাজানো। আমি কোথাও এমন কথা বলিনি। যদিও এমন কোন অডিও ছড়িয়ে থাকে, তাহলে সেটা বিজেপির চক্রান্ত। হেরে গিয়েছে বুঝতে এসব চক্রান্ত করে বেরাচ্ছে।” অডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল। 


আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টা কেটে গেল, ধর্মনিরপেক্ষতার ঝান্ডাবাহীরা কোথায়? প্রশ্ন মোদীর