নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সময় না পার হতেই উত্তর এল বিধানভবন থেকে। কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন ছেড়েছিল বামেরা। কিন্তু পাল্টা পাঁচটা আসন ছেড়ে সৌজন্য দেখায় প্রদেশ কংগ্রেস।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, বোলপুর, তমলুক এবং বিষ্ণুপুরে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। বামেদের প্রতিক্রিয়া দেখেই পরের পদক্ষেপ করবে কংগ্রেস। বামদের যুক্তি, সমঝোতা চাইলে বামেদের জেতা আসনে প্রার্থী না দেওয়ার ফর্মুলা মানত কংগ্রেস। বুধবারই কংগ্রেসের জেতা দুই আসন জঙ্গিপুর আর আর মালদা উত্তরে প্রার্থী ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। মালদহ উত্তরে প্রার্থী সিপিএমের বিশ্বনাথ ঘোষ, জঙ্গিপুরে জুলফিকার আলি।  বামেদের জেতা দুই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রত্যাহার করলে ফের আলোচনা হতে পারে বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিমান বসু।


কংগ্রেস যে পাঁচটি আসন ছেড়েছে, সেগুলিতে প্রার্থী দিলেও হতশ্রী ফলই হত তাদের। অন্তত গতবারের পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। কী রকম?  


২০১৪-য় ডায়মন্ড হারবারে বামেরা ৩৪.৩৯% ভোট পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪.৯৬% ভোট। 


আসানসোলে বামেরা পেয়েছিল ২২.৩৯% ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪.২৪ % ভোট। 


তমলুকে ৩৫.১৬% ভোট পেয়েছিল বামেরা। ২.২% ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। 


বিষ্ণুপুরে বামেরা পেয়েছিল ৩৩.০৭% ভোট। কংগ্রেস পেয়েছিল ২.১২ %।


বোলপুরে বামেরা পেয়েছিল ৩০.৮৬% ভোট।  ৩.৬৭ %  ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। 


সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়,''ওই আসনগুলির কথা বলছে কেন। ওরা ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল''। প্রদীপ ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ''শতাংশ নিয়ে এত বড়াই কিসের। ওই আসনগুলির একটাও জেতেনি আগে। কংগ্রেসকে ছাড়া জিততে পারবে না''।


আরও পড়ুন- ২০১৩ সালে নীরবের পার্টিতে রাহুল, পরের দিন মঞ্জুর ঋণ, দাবি করেছিল বিজেপি


সমঝোতায় ইতি। কার দায়? দুপক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুই শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও একটু নমনীয় হওয়া যেত না?