নিজস্ব প্রতিবেদন: মিড-ডে মিল নিয়ে রাজ্যস্তরে জারি হল নোটিস। আজ বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন মিড-ডে মিল নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করুন। সেই নির্দেশ মতো স্কুল এডুকেশন দফতর সোমবার মিড-ডে মিল নিয়ে এই নির্দেশিকা দিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বলা হয়, রাজ্য স্তরে মাছ কিংবা ডিম দেওয়ার কথা বলা হয়নি। জেলাগুলি তাদের চাহিদা অনুযায়ী তালিকা তৈরি করবে। সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"ডিমের দাম ৬ টাকা, আর মিড-ডে মিলের বাজেট ৪ টাকা ৩৪ পয়সা। ডিমের দেব কি করে? অথচ জেলাগুলো তাদের যে তালিকা দিয়েছে তাতে ডিম/মাছ আছে, তবে সপ্তাহে দু'দিন।"


এক এক জেলার জেলাশাসক এক এক রকম খাবারের মেনু তৈরি করছেন। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের মাথা পিছু বরাদ্দ প্রায় সাড়ে চার টাকা।এই টাকায় গ্যাসের খরচ মিটিয়ে মাছ-মাংস-ডিম কীভাবে খাওয়ানো হবে? তা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাই এবার নতুন নির্দেশিকা মিড-ডে মিল প্রজেক্ট বিভাগের। মাছ-মাংস নয়, পুষ্টির দিকে মূল নজর দেওয়া হোক।নির্দিষ্ট টাকায় ছাত্রছাত্রীরা যেন পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে সেদিকেই বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।


আরও পড়ুন - আদিবাসী ঘরে চা পান 'দিদি'র, মেটালেন খুদেদের খেলার মাঠের আবদারও, বৈঠক সেরে জনসংযোগে মুখ্যমন্ত্রী


প্রসঙ্গত মিড-ডে মিল বিতর্কে সরগরম রাজ্য। চুঁচুঁড়ার এক স্কুলে ছাত্রীদের মিড-ডে মিলে 'নুনভাত, ফেনাভাত' দেওয়াকে কেন্দ্র করে সামনে আসে মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় সব মহলে। ছাত্রীদের নুনভাত খাওয়ার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকের নির্দিষ্ট করে দেওয়া মিড-ডে মিলের মেনুতে যুক্ত হয় মাছ। ডিমের সঙ্গে মাছ দেওয়ার বিকল্পও রাখা হয়েছে মেনুতে।