নিজস্ব প্রতিবেদন : লটারিতে কেল্লাফতে। পূর্ব বর্ধমানে এক মাসে পরপর দুজন রাতারাতি কোটিপতি হলেন লটারির 'কৃপা'য়।  আর তারপরই জেলাজুড়ে হু হু করে বেড়েছে লটারি কেনার ধুম। গত কয়েকদিনে টিকিট বিক্রির হিসেব বেড়েছে গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ। বিক্রেতাদের দাবি, একমাসে দুই বিজয়ীকে দেখেই উত্সাহ বেড়েছে লটারি কেনায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ১৪  ডিসেম্বর লটারিতে ১ কোটি টাকা পান পূর্বস্থলীর  দিনমজুর  সুদেব দাস। মাস শেষ হওয়ার আগেই ফের কোটি টাকার পুরস্কার জিতে তাক লাগিয়ে দেন পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ইন্দ্রনারায়ণ সেনও। মুখে মুখে চাউর হয়ে যায় খবর। ব্যস, তারপরই যেন হিড়িক পড়ে যায় লটারির টিকিট কাটার। স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি টিকিট বিক্রি বেড়েছে ফ্লাইং সেলারদেরও। অনেকেই মনে করছেন, পদ্ধতি স্বচ্ছ হওয়াতেই পরপর পুরস্কার পাচ্ছেন ক্রেতারা।


১৪ ডিসেম্বর রাতারাতি জীবন বদলে গিয়েছে সুদেব দাসের। বাবা-মাকে নিয়ে ভাঙা বাড়িতে দিন গুজরান এখন অতীত। নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের সাহাপাড়ার বাসিন্দা ইন্দ্রনারায়ণ সেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী। আপাতত পুরস্কারের টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোটিজ করতে চান। আর জেলার এই দুই বাসিন্দাকে দেখেই নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছে অনেকে।  


শুধুই বর্ধমান নয়, একই ছবি নদিয়ার রানাঘাটেও। নতুন বছরের প্রথম দিনই নাগাল্যান্ড সরকারের নিউ ইয়ার বাম্পার কোম্পানির টিকিটে শিঁকে ছিড়েছে নদিয়ার গাংনাপুরের এক কলেজছাত্রেরও। মাত্র ৩০০ টাকায় একই সিরিজের ২৫টি টিকিট কেটেছিলেন, আর তাতেই কেল্লাফতে। ২ ঘণ্টার মধ্যেই হাতেনাতে ১ কোটি টাকা পেয়ে যান ওই ছাত্র।


আরও পড়ুন, বাংলায় CAA প্রচারে মুখ রাহুল, তৃণমূলকে 'অনুসরণ' করে ক্লাবকে কাছে টানার নীতি বিজেপির


জানা গিয়েছে, ছোটবেলায় বাবাকে হারায় ওই কলেজপড়ুয়া। পরে মৃত্যু হয় মায়েরও। পিসির কাছে থেকে, টিউশনি করেই  দুই ভাই-বোনের কোনওমতে দিন গুজরান হত। কোটিপতি হয়ে আপাতত এখন বোনের বিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য দাদার। আর সঙ্গে নিজের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছেন ওই ছাত্র।