বিহারের মেয়ে-বরাহনগরের ছেলে, নাছোড় প্রেমের কাছে হার মানল জাতপাতের চোখরাঙানি
মেয়ের বয়স ২১। ছেলে এখন ১৯। ভিন্ন জাতে প্রেমে বেঁকে বসে মেয়ের পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জাত আলাদা। সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। অভিযোগ, সম্মানরক্ষায় খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। শেষে বরানগরের প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে বিহারের মেয়ে। অপহরণের অভিযোগ পেয়ে ছেলের খোঁজে কলকাতায় আসে বিহার পুলিস। তারপর? কথায় আছে, সব ভালো যার শেষ ভালো। হল-ও তাই। আদালতে নির্দেশে মধুরেণ সমাপয়েত্।
বিহারের সুষমা কুমারী। আর বরাহনগরের গোপাল তিওয়ারি। পথের দূরত্ব অনেকখানি। কিন্তু সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে দেয় ফেসবুক। ফেসবুকেই পরিচয়। তারপর সেই পরিচয় গড়ায় প্রণয়ে। সংসার বাঁধার স্বপ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় দুটি মন। কিন্তু বাদ সাধে জাতপাতের বিচার। মেয়ের বাড়ি বিহারের চাপরা। ছেলে কলকাতার বরাহনগরের। ভিন্ন জাত। বেঁকে বসে মেয়ের পরিবার। মেয়ের অভিযোগ, বাড়ির সম্মানরক্ষায় দুজনকেই খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, বাইক লক্ষ্য করে হঠাত্ উড়ে এল সাইকেল! সিনেমাকেও হার মানাবে এঘটনা
এরপরই মাসখানেক আগে বিহারের সুষমা কুমারী বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। অশ্রয় নেন বরানগরে প্রেমিকের বাড়িতে। আর তারপরই প্রেমিক গোপাল তিওয়ারি নামে অপহরণের মামলা করে মেয়ের পরিবার। জট কাটাতে কলকাতায় আসে বিহার পুলিসের একটি প্রতিনিধি দল। পুলিসকে সুষমা সাফ জানিয়ে দেয়, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি। গোপালকে তিনি বিয়ে করতে চান।
আরও পড়ুন, সন্তান চাইতেন না স্বামী! নারকেলডাঙায় গৃহবধূ খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
কিন্তু মেয়ের বয়স ২১। ছেলে এখন ১৯। পাত্রের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। ফলে এখনই আইনি মতে বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। তবে মেয়েও নাছোড়াবান্দা। বারাকপুর আদালতে সুষমা জানায়, প্রেমিক গোপালের বাড়িতেই থাকতে চান তিনি।
আরও পড়ুন, কড়াইতে 'কষা মাংস', স্বামীর অপেক্ষায় এখনও বসে ২ মাসের বিবাহিতা স্ত্রী
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সেই ইচ্ছাকেই স্বীকৃতি দেন বিচারক। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, বিহারের যে আদালতে অপহরণের মামলা চলছে সেখানে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে যুবতীকে। দরকারে তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে হবে বলে জানায় কোর্ট। অগত্যা, ফিরে যায় বিহার পুলিসের দল।