Madan Mitra: দলের নির্দেশ! মিডিয়াকে `বয়কট` করলেন মদন মিত্র
মদন মিত্র বলেন, প্রথমেই আসি মদন মিত্র ও অনুব্রত মণ্ডলের কথা। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটুকু বলব, এদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আমার সম্পর্ক ও ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার কোনও মন্তব্যে এদের আঘাত করার মানসিকতা ছিল না।
বরুণ সেনগুপ্ত: মদন মিত্র মানেই কখনও মজার, কখনও কড়া কথা। সেই মদন মিডিয়াকে 'বয়কট' করলেন? দলের নির্দেশ মেনে এমনটাই করলেন কামারহাটির বিধায়ক। সূত্রের খবর, একাধিক বার পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মন্তব্য করায় দল অস্বস্তিতে পড়েছে। তাই তাঁকে মিডিয়ায় কোনও মন্তব্য করা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। তাই এবার এনিয়ে সাবধানী মদন মিত্র। ঠিক করেছেন আগামী কিছুদিন মিডিয়ায় কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না। তবে কুশল বিনিময় করা যাবে। এমনটাই জানালেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন-এক পলকেই ধূলিসাত্ নয়ডার ৪০ তলা টুইন টাওয়ার
রবিবার মদন মিত্র বলেন, দলের নামে শপথ করছি কোনও সংবাদমাধ্য়মের সঙ্গে কেমন আছেন, ভালো আছেন এইসব প্রশ্নের বাইরে আলাদা করে কোনও বাইট দেব না। দেব না মানে দেব না। কথা মানে কথাই। যা বলার তা ইনস্টা, ফেসবুকেই বলব। সাংবাদিক বন্ধুদের বলব আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনাদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অটুট রইল। শুধু আমার কাছে মাইক নিয়ে কিছু বলতে বলবেন না। যদি বলেন কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে মদন মিত্র নামটা এমন একটা না যে আমার প্রচারের কোনও প্রয়োজন নেই। আমি যা প্রচার পেয়েছি তাতে আগামী ৫ বছর যদি মদন মিত্রের নাম মিডিয়ায় না উচ্চারণ হয় তাহলেও বাংলার মানুষ আমরা নাম মনে রাখবে।
এখানেই থেমে থাকেননি কামারহাটির বিধায়ক। মদন মিত্র বলেন, প্রথমেই আসি মদন মিত্র ও অনুব্রত মণ্ডলের কথা। এদের বিরুদ্ধে কী হবে, কী হবে না তা বিচার ব্যবস্থাই বলবে। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে এটুকু বলব, এদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আমার সম্পর্ক ও ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার কোনও মন্তব্যে এদের আঘাত করার মানসিকতা ছিল না। কিন্তু একটি বিবৃতিকে কেন্দ্রে করে এমনভাবে কিছু কথা বেরিয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে আমি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় কিংবা অনুব্রতকে বা আমার পার্টিকে বিড়ম্ববনায় ফেলে আঘাত করার চেষ্টা করেছি। সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের বলব, কিছুদিন অন্তত আপনারা আমাকে আপনাদের সংবাদমাধ্যমের বাইরে থাকতে দিন। আমি যেসব প্রোগ্রাম করি সেইসব প্রোগ্রামে আপনারা আসবেন, কভার করবেন। সংবাদমাধ্যমে মন্তব্যের জন্য দল যদি অস্বস্তি ও বিপাকে পড়ে তাহলে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
শিক্ষক নিয়ে দুর্নীতি ও গোরুপাচার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অনুব্রত মণ্ডল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দল সেভাবে সরব না হলেও অনুব্রত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর দলের পক্ষ থেকেই বেশ কিছু তীর্যক মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। সম্ভবত সেই জায়গা থেকেই দল এনিয়ে কোনও কড়া অবস্থান নিয়েছে। তারই প্রতিফলন দেখা গেল মদনের গলায়।