নিজস্ব প্রতিবেদন:  মধ্যমগ্রাম শুটআউটকাণ্ডে এবার বাংলাদেশ যোগ স্পষ্ট। কেন তৃণমূল নেতা বিনোদ ওরফে রিঙ্কুকে খুনের ছক কষেছিল রাখাল? ধৃত ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ঢাকায় গৌতম খুনের পর সিন্ডিকেটের সমীকরণ বদলে যায়। ক্ষমতা আসতে শুরু করে রাখালের হাতে। গোটা প্রোমোটিং চক্রের চাঁই হয়ে ওঠে সে। তার ক্ষমতায়নে ইর্ষান্বিত হয়ে পড়েন মধ্যমগ্রামের আক্রান্ত তৃণমূলনেতা বিনোদ ওরফে রিঙ্কু। ধৃতদের দাবি অনুযায়ী, রাখালকেই খুনের পরিকল্পনা করতে থাকেন বিনোদ। এক্ষেত্রে গৌতম খুনের মূল পাণ্ডা টুপাইয়ের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। যদিও সেসময় মাদক পাচারের অভিযোগে জেলে ছিলেন রাখাল। কিন্তু জেলে বসেই বিশ্বস্ত সূত্রে সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল তার কাছে।


মধ্যমগ্রাম শুটআউটের নেপথ্যে কি আক্রান্ত তৃণমূলনেতার একসময়ের বন্ধু দলীয় কর্মী ‘ডন’ রাখাল?


 


মাস তিনেক আগেই জেল থেকে বেরোয় রাখাল। এরপর থেকেই বিনোদকে সরানোর প্ল্যান করতে থাকে সে। বিনোদ ওরফে রিঙ্কুকে খুনের জন্য দিল্লির ২ সুপারি কিলারকে ভাড়া করে সে। বাচ্চু  ওরফে সোমনাথ দত্ত ও প্রাণ সিংহকে সুপারি দেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শ্যামনগর থেকে সোমনাথ দত্ত ওরফে বাচ্চুকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিস। তারপরই গ্রেফতার হয় দ্বিতীয় সুপারি কিলার প্রাণ সিংহ। এই দুজন ছাড়াও শুটআউটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নাবালক সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে এখনও অধরা রাখাল। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।


বিনোদ ওরফে রিঙ্কুর সঙ্গে রাখালের সম্পর্ক নিয়েও এলাকাবাসীর কথায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয়দের বক্তব্য, রিঙ্কুর সঙ্গে একসময়ে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল রাখালের। তারা বন্ধু ছিল। মদের ঠেকে তাদের দুজনের বচসার সূত্রপাত। এরপর বন্ধুত্বে চিড় ধরে। প্রোমোটিং ব্যবসাকে কেন্দ্র করে জল গড়ায় অনেকদূর। সম্প্রতি বাদুতে একটি জমি দখলকে কেন্দ্র করে বচসা চরমে উঠেছিল।