নিজস্ব প্রতিবেদন:  মধ্যমগ্রাম শুটআউটকাণ্ডে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে কারোর সঙ্গে ঝামেলা হতেই পারে। আমার তা জানা নেই। আমি জানি লোকে এটাকে বলবে অভ্যন্তরীণ সমস্যা। কিন্তু আমি বলব এর পিছনে বিজেপি রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “বারাকপুরের সাংসদ কোনওদিনই এই এলাকা ঘুরে দেখেননি। তবে সেখানে গিয়ে বিবৃতি কেন দিতে গেলেন?”এই ঘটনায় যে পাঁচ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিস, তারা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ঘটনার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দলীয় কার্যালয়ে আমিও বসি। আচমকা যেভাবে বোমাবাজি, পরপর গুলি চলল, তাতে দুষ্কৃতীদের সাহস রয়েছে বলতে হবে।”


একই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও তুলোধনা করেন তিনি। একসময়ের সহকর্মীকে কটাক্ষ করে বলেন, “মুকুল রায় বাঙলার ৫০জন বিজেপি নেতার মধ্যে একজন নেতা। টাকা নিয়ে এত দুর্নীতি করেছে। যেটা আমাদের দল থেকে শুরু করেছিল। জানিনা কেন বিজেপি ওকে রেখে দিয়েছে। আমাদের দল থেকে গেছে, পাপ মুক্ত হয়েছে।”


মধ্যমগ্রাম শুটআউটের নেপথ্যে কি আক্রান্ত তৃণমূলনেতার একসময়ের বন্ধু দলীয় কর্মী ‘ডন’ রাখাল?


উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রাম শুটআউটকাণ্ডে মূলত যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই রাখাল নন্দী এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, প্রোমোটিং নিয়ে বচসার জেরেই এই হামলা। আক্রান্ত তৃণমূলনেতা রিঙ্কুও একসময়ে রাখালের বন্ধু ছিলেন। মাদক পাচার, এলাকা দখলে সিদ্ধহস্ত রাখালই এই হামলার মূল চক্রী। সেই ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে এই অপারেশন চালিয়েছে বলে মনে করছে পুলিস। ঘটনার পর থেকে সে বেপাত্তা। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিস এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।