নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামিকাল অর্থাত্ বুধবার প্রকাশিত হচ্ছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল।  উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বের হবে শুক্রবার অর্থাত্ ১৭ জুলাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার মাধ্যমিকের সব পরীক্ষাই হয়েছে। তাই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের সব পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তাই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বুধবার সকাল দশটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।  সকাল সাড়ে দশটা থেকে তা পাওয়া যাবে পর্ষদের ওয়েবসাইট  http://wbbse.org থেকে। পর্ষদ সূত্রে খবর যেসব স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে সেইসব স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মার্কশিট দেওয়া হবে বিকল্প জায়গা থেকে।  


আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি চাই; দাবি সচিনের, ফের সংকটে রাজস্থান কংগ্রেস


রেজাল্টের দিন উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট দেওয়া হবে না। কয়েকটি জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন হওয়াতে এই সিদ্ধান্ত। ৩১ জুলাই তা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বলেছিল  রেজাল্ট এর দিন মার্কশিট দেওয়া হবে।


মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর মার্কশিট দেওয়া নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে খবর, এবার মাধ্যমিকের মার্কশিট পরীক্ষার্থীর হাতে দেওয়া হবে না। বরং তা দেওয়া হবে অভিভাবককে। অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। তবেই মিলবে মার্কশিট।


ফলাফল প্রকাশের কয়েকদিন পর অভিভাবকরা স্কুলের নির্দেশ মতো তা সংগ্রহ করতে পারবেন। এমনটাই ভাবছে মধ্য শিক্ষা পর্যদ। করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে পরীক্ষার্থীদের আর স্কুলে টেনে আনতে নারাজ পর্যদ। অভিভাবকরা আসলে তাঁরা অনেকাই সতর্ক থাকতে পারবেন।
 
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। যা গতবারের তুলনায় কম। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯। তবে পর্ষদ তরফে জানানো হয়েছে এ বছর ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি।


আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গে বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি তবে, মোটের উপর স্বাভাবিক


প্রতিবারের মতো এবারেও পরীক্ষায় শুরুর আগে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরও একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে পর্ষদ। আগের বছর যে সমস্ত জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল এবং ফাঁস হওয়ার প্রবণতা ছিল পরীক্ষা চলাকালীন সেই সমস্ত জায়গায় বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।