রণজয় সিং, মালদা: হুলফ করে লিখতে পারি, এমন জাদু আপনার কেউ দেখেননি। এমন জাদুর গল্প কেউ কখনও শোনেননি। জাদু দেখাতে গিয়ে একেবারে ফিল্মি কায়দায় গোটা গ্রামের জিনিসপত্র উধাও হয়ে গেল! এখানেই শেষ নয়। খোদ সেই জাদুকরের প্রেমে মজে নিজের বাড়ি ছাড়লেন এক গৃহবধূ! এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর এলাকায়। তবে সেই কীর্তিমান জাদুকরকে কিন্তু পুলিস এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিনেমাপ্রেমীরা অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুরের বিখ্যাত 'শান' সিনেমা কিংবা শশী কাপুর ও জিনাত আমানের 'চোরি মেরা কাম' সিনেমা নিশ্চয়ই মনে আছে। সেই দুটি সিনেমায় অভিনব কায়দায় দেখানো হয়েছিল চুরি। এই চুরিও কম অভিনব নয়। আসলে জাদু  খেলা দেখানোর ছলে গ্রামবাসীদের সর্বস্ব লুঠের পাশাপাশি করে এক গৃহবধূকেও নিয়ে পালালো রাকেশ পাহাড়ি নামক এক জাদুকর। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানায় ঘটলেও, পুলিস এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 


গত সাত দিন ধরে  সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর এলাকায় আসর  বসিয়েছিলেন বছর ২৫-এর রাকেশ পাহাড়ি। সাইকেলে খেলা দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভেলকি কলাকৌশলের সঙ্গে জাদু খেলা দেখাচ্ছিলেন সে। তাঁর খেলা দেখে গ্রামবাসীদের মন ভরে যায়। গোটা গ্রামের অধিকাংশ গৃহবধূদের বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন রাকেশ। আর সেই সুযোগে রাকেশ ও তাঁর দলের বাকিরা কোনও মহিলার কানের দুল, কারও সোনার বালা, নাকের দুল, আংটি চুরি করেন রাকেশ। 



আরও পড়ুন: Saradha Scam Case: চিট ফান্ড মামলায় জামিন পেলেন সুদীপ্ত সেন...


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: অনুব্রতর দিল্লি যাওয়া পাকা! কড়া পদক্ষেপ আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের


এমনকি গ্রামেরই এক অষ্টাদশী গৃহবধূ খুশির রায়ের মনও চুরি করে রাকেশ। এরপরই গৃহবধূকে নিয়ে তাঁর ঘর থেকে চুরি করা গহনা নিয়ে চম্পট দেয় সেই জাদুকর। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবারই পুরাতন মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও পুলিসের হাতে কেউ ধরা পড়েনি। 


স্ত্রীকে হারিয়ে মাথায় হাত পড়েছে স্বামী প্রসেনজিৎ রায়ের। তিনি বলেন, "গ্রামে সাইকেল খেলা দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কলা কৌশল দেখাচ্ছিল এই যুবক। অধিকাংশ মানুষই সেই যুবকের জাদু খেলা বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন। এরই মধ্যে আমার স্ত্রী খুশির রায়ের সঙ্গে যে ওর সম্পর্ক তৈরি করে। সুযোগ বুঝে বুধবার রাতেই স্ত্রী-সহ গ্রামবাসীদের সোনা, টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে সেই জাদুকর।" 


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম রাকেশ পাহাড়ি। বাড়ি নদীয়া জেলায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান এমনই।  তবে আসলে সেই যুবক নদীয়ার বাসিন্দা কিনা সে ব্যাপারেও সেই জেলার পুলিসের সঙ্গে কথা বলছে। জেলার পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত রয়েছে। এলাকাবাসীদের মোবাইলে ছবি দেখে সেই অভিযুক্ত জাদুকরের খোঁজ চলছে।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)