নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চা-চক্রে যাননি। এর জন্য ফের বাকরুদ্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি একটি মারাত্মক অভিযোগও এনেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের ওপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে।  যে এই কাজ করুক না কেন তার শাস্তি হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সংঘাত চরমে! রাজভবনের গোপন তথ্য কীভাবে পৌঁছলো? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রাজ্যপালের



রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যপালের ওই মন্তব্য়ে ক্ষুব্ধ দল। রবিবার রাজ্যপালের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই রাজভবনের ওপরে নজরদারির অভিযোগ নিয়ে ধনখড়কে নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া টুইট করেন, ' আঙ্কেলজি এখন বলছেন রাজভবন ও তাঁর ওপরে নজরদারি করা হচ্ছে। ওই জিনিসটা আপনার গুজরাটের বস অন্য কারও থেকে ভালো জানেন। এক্ষেত্রে যে কেউ ওঁর কাছে নভিস।' প্রসঙ্গত, এভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে আঙ্কেলজি বলে সম্মোধন করাটা নজিরবিহীন।


উল্লেখ্য, রবিবার রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজভবনের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে। তাঁর কথায়, রাজভবনের কোনও কর্মচারী রাজ‍্যপালের কথা শুনবে না, এমন আচরণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রাজভবনের গোপন তথ‍্য কী করে রাজ‍্য প্রশাসনের সবোর্চ্চ স্তরে গেল? এ দিন প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "যে এই কাজ করুন না শাস্তি পাবেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। মমতার নাম না করে রাজ্যপালের কটাক্ষ, নবান্নের কোনও গোপন তথ‍্য এভাবে এলে আমি সতর্ক করতাম।'


অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে বিকেলে চা চক্রে মমতার না যাওয়া নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'কোভিড প্রটোকল মেনেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। উনি খুব খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।  এমনটা আগে কোথায় হয়নি। আমি বাকরুদ্ধ। উনি যখন এসেছিলেন তখন কাজে ব্যাস্ত ছিলাম।' প্রসঙ্গত, ১৫ অগাস্ট আচমকাই সারপ্রাইজ ভিজিট করেন রাজভবনে। ঘণ্টাখানেক কাটানও সেখানে। চা-চক্রে না যাওয়াতে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।


আরও পড়ুন-'স্বাধীন ভারত, অমর রহে' মন্তব্য দিলীপের, ব্যাখ্যা ধনখড়ের



মহুয়া মৈত্র এনিয়ে টুইট করেন, করোনা আবহের মধ্যেও রাজ্যপালের চা-চক্রে যাঁরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তাঁরা ভাগ্যবান। করোনার মধ্যে এভাবে চা-চক্রে লোক জোগাড় করা মুখ্যমন্ত্রী ও ওঁনার পক্ষে যুব একটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না।


এদিকে, শনিবার মমতার রাজভবনে সারপ্রাইজ ভিজিটের সমালোচনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, হঠাত মুখ‍্যমন্ত্রীর মনে হল উনি দুপুরে আড্ডা মারতে চলে গেলেন। মুখ্যচসিব, স্বরাষ্ট্র সচিব কেন মুখ‍্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনাহুত ভাবে চলে গেলেন! উনি প্রমাণ করলেন এরাজ‍্যে মুখ‍্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব বলে কোন পদ নেই। মুখ‍্যমন্ত্রীর পিছনে ভেকধরা পার্টি এরা, এদের প্রশাসনিক মনোভাব নেই। এটা খুব দুর্ভাগ্যের।