নিজস্ব প্রতিবেদন : পিনকন চিটফান্ড মামলায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে অপসারণের নির্দেশ দিলেন তমলুকের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৩ অক্টোবর পিনকন মামলায় দোষীদের সাজা ঘোষণা করে আদালত। সেদিন পিনকন চিটফান্ডের কর্ণধার মনোরঞ্জন রায়কে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা কার্যকর করেননি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার। সেই ঘটনাতেই তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দিলেন বিচারক। পাশাপাশি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন। 


একইসঙ্গে মনোরঞ্জনের স্ত্রী মৌসুমী রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারায় ইকোনমিক অফেন্স বিভাগের ডিরেক্টর এবং কলকাতার নেতাজিনগর থানার ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এপ্রিল মাস থেকে ভর্তি পিনকন চিটফান্ডের কর্ণধার মনোরঞ্জন রায়। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে আদালতকে অবহিত করেননি বলেও অভিযোগ। তাই ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্যও আদালত স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে। 


প্রসঙ্গত, পিনকন চিটফান্ড দুর্নীতি মামলায় কর্ণধার মনোরঞ্জন রায় ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী রায় সহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এখন মৌসুমী রায় ফেরার। এবার মনোরঞ্জন রায়ও যে কোনও সময় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছে আদালত। তাই সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে আদালতের তরফে ৩ দফা নির্দেশনামা পাঠানো হয়।


আরও পড়ুন, ছেলের খুনের ২ দিন পর প্রথমবার মুখ খুললেন মণি শুক্লা, জানালেন মণীশ হত্যার 'সম্ভাব্য কারণ'