শ্রীকান্ত ঠাকুর: একই শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী প্রেমিক-প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে তপন থানার দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের যশরাইল গ্রামে। যুগলের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে মৃত লব হেমব্রম ও আল্পনা মার্ডি মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নেয়নি দু’জনের পরিবার। তাই চরম সিদ্ধান্ত প্রেমিক প্রেমিকার। একটা শাড়িতেই দু’জনে গলায় পেঁচিয়ে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে জঙ্গলে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যা করে লব হেমব্রম এবং আলপনা মার্ডি। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে তপন থানার পুলিস এবং ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলপনা মার্ডি সম্পর্কে লব হেমব্রমের পাড়ার বৌদি। ২০২০ সালে এই গ্রামেরই রবিন মূর্মুর সঙ্গে আলপনা মার্ডির বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। অন্যদিকে লব হেমব্রম অবিবাহিত। তিনি কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন। বছরখানেক আগে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এই নিয়ে দুই পরিবারের তরফ থেকেই দু’জনকে সাবধান করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন: Government Job Exam Admit: পরীক্ষার ৭ বছর চাকরিপ্রার্থীর বাড়িতে এল অ্যাডমিট!


গত বুধবার লব মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরেন। এর মধ্যেই লবের পরিবার আগামী বৈশাখ মাসেই লবের বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে। পাত্রী দেখার কাজও প্রায় শেষ। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা লব বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যায়।  অন্যদিকে আলপনা মার্ডিও ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দুজনেই একসঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যায় বাড়ি থেকে।


সকাল থেকেই দুই পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে কারণ বেলা বাড়লেও দু’জনকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাদের দু’জনকেই যশরাইল গ্রাম থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলের মধ্যে একটা কাপড়েই দুজন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখে গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় তপন থানায়। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই  আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান।


আরও পড়ুন: জানলা ভেঙে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ! কাঠগড়ায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে


মৃত আলপনা মার্ডির আত্মীয় সোম মুর্মুর দাবি, ‘এদের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সেটা ৩ - ৪ মাস আগে আগে জানাজানি হয়। আমরা সতর্ক করেছিলাম। কোনও অশান্তি হয়নি। আল্পনা মার্ডির আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে সম্পর্ক যে এতটা গভীর তা আমরা বুঝতে পারিনি। লব মুম্বইয়ে কাজ করত। সেখান থেকেই ফোনের মারফত যোগাযোগ। তারপর যে ওরা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে, এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল’।


লব হেমব্রমের দাদা ত্রিবান হেমব্রমের দাবি, ‘লবের বিয়ের দেখাশোনা চলছিল। আগামী বৈশাখ মাসেই ওর বিয়ের দিনক্ষণ এবং পাকা দেখা ঠিক হয়েছিল। কী কারণে আত্মহত্যা করলেও জানা নেই তবে আলপনা মার্ডির সঙ্গে ওর একটা সম্পর্ক ছিল এটা আমরা জানতাম’।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)