নিজস্ব প্রতিবেদন : সভাস্থল বিতর্কের পর এবার হেলিপ্যাড বিতর্ক। বিজেপির সর্বভারতীয় সভপতি অমিত শাহের হেলিকপ্টার নামার জন্য মালদা বিমানবন্দরে হেলিপ্যাড তৈরির অনুমতি দিল না মালদা জেলা প্রশাসন। বিমানবন্দরে সংস্কারকাজ চলছে। এই অজুহাতে হেলিপ্যাড তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে জেলা বিজেপির করা আবেদন বাতিল করে দিল জেলা প্রশাসন। পাল্টা চিঠি দিয়ে মালদা জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে মালদা জেলার বিমানবন্দরটি 'আন সেভ ফর প্যাসেঞ্জার'। যদিও উত্তরবঙ্গের বিজেপি আহ্বায়ক রথীন্দ্রনাথ বোস সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। প্রশাসনের চিঠিতে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। সপ্তাহে ২দিন মালদা বিমানবন্দরে রাজ্য পরিবহন দপ্তরের যাত্রী পরিষেবার হেলিকপটার ওঠা-নামা করে। তবুও প্রশাসন কেন ওই বিমানবন্দরকে বিপজ্জনক বলে দাবি করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিকল্প হেলিপ্যাডের ব্যবস্থাও প্রশাসন চিহ্নিত করেনি বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর দাবি, চক্রান্ত করেই মালদা বিমানবন্দরে হেলিপ্যাড তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়নি।



জেলা বিজেপিকে চিঠি অতিরিক্ত জেলাশাসকের


 

জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, অমিত শাহের সভা আয়োজন করার জন্য তাঁরা সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তত। হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বিকল্প  জমির সন্ধান করা হবে। তারপর পুনরায় আবেদন করা হবে। প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার জন্য এদিন-ই অমিত শাহের সভাসূচিতে খানিকটা পরিবর্তন ঘটানো হয়। ২০ জানুয়ারি মালদায় সভা করার কথা ছিল অমিত শাহের। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ২২ জানুয়ারি মালদায় সভা করবেন অমিত শাহ। সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে এইমস-এ চিকিত্সাধীন রয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি।  চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আপাতত সুস্থ রয়েছেন অমিত শাহ। তবে শরীর দুর্বল রয়েছে। সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।


আরও পড়ুন, মালদায় অমিত শাহের সভাস্থল ঘিরে জমি বিতর্ক, বিড়ম্বনায় বিজেপি


আদালতের নির্দেশে বাংলায় বাতিল হয়েছে বিজেপির রথযাত্রা। রথযাত্রা বাতিল হতেই বিকল্প হিসেবে রাজ্যের ৫ জায়গায় অমিত শাহের সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি। প্রথম সভাস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মালদাকে। মালদা থানার সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বাইপাসের ধারে জনসভার জন্য জমি চিহ্নিত করে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু সেই জমি নিয়েও জোর বির্তক শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, জমিটির মালিক একদা সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তরুণ ঘোষ।