Malda Gang Rape: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নাবালিকাকে `গণধর্ষণ` মালদায়? বিস্ফোরক অভিযোগ মায়ের
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ, অপহরণ, মাদক জাতীয় কিছু খাওয়ানো, গণধর্ষণের চেষ্টা, সংঘবদ্ধ অপরাধের চেষ্টা ও নাবালিকা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পক্সো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে ফের নাবালিকা গণধর্ষণের অভিযোগ! অভিযোগ, মালদার বৈষ্ণবনগরে এক নাবালিকাকে অপরহরণ করে গণধর্ষণ করে ৪ জন। এমনই অভিযোগ ও দাবি পরিবারের।
ঘটনাটি বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজামুদ্দিন পাড়ার। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত। গত মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। রোজার জন্য বাজার করতে গিয়েছিলেন । বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে তাঁর বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ে ছিল। এরপরই অভিযুক্ত ৪ জন বাড়িতে ঢুকে ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পাশের একটি খেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে আলমগীর শেখ, তোতা শেখ, সেলিম শেখ এবং সুজন রবিদাস- নামে ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত কুম্ভীরা পুলিস ফাঁড়িতে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ২ অভিযুক্ত সুজন রবিদাস এবং সেলিম শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ, অপহরণ, মাদক জাতীয় কিছু খাওয়ানো, গণধর্ষণের চেষ্টা, সংঘবদ্ধ অপরাধের চেষ্টা ও নাবালিকা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পক্সো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মালদা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপাতত ওই নাবালিকাকে মালদার সরকারি মহিলা হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরই 'গণধর্ষণ' সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস। প্রশ্ন উঠছে, ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা বড় মেয়ে কি টের পায়নি? যদি টের না পেয়ে থাকে, তবে কেন টের পেল না? অপধারী কি পূর্ব পরিচিত? সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।