Visva-Bharati: Ragging-এ মৃত্যু? বিশ্বভারতীর হস্টেলে উদ্ধার ছেলের ঝুলন্ত দেহ, কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ মা

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অসীম দাসের মা

নিজস্ব প্রতিবেদন : একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বিশ্বভারতীর হস্টেল থেকে। বিশ্বভারতীর পাঠভবনের পড়ুয়া ওই ছাত্র। নাম অসীম দাস। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস চত্বরে। 

জানা গিয়েছে, পাঠভবনের উত্তরশিক্ষা হস্টেলের রুম থেকে সকাল ৮টা নাগাদ একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অসীম দাসের ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার হয়। কী কারণে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিসও। ওই ছাত্র কি আত্মঘাতী হয়েছে? নাকি তাকে খুন করা হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। ওই পড়ুয়ার পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মৃতের এক আত্মীয় এই ঘটনায় Ragging-এর অভিযোগ তুলেছেন।

ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন অসীম দাসের বাবা-মা। ছেলেকে হারিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন অসীম দাসের মা। কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে পড়ে যান। সন্তানকে হারানোর যন্ত্রণায় অ্যাম্বুল্যান্স আঁকড়ে ধরেও কাঁদতে থাকেন তিনি। অনেক কষ্টে তাঁকে সামলান মহিলা পুলিসকর্মীরা। কাঁদতে কাঁদতে পাগল পাগল দশা বাবারও। তাঁদের ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে, এটা বিশ্বাস করতে নারাজ হতভাগ্য বাবা-মা। 

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল বিশ্বভারতী চত্বর। বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। গেট ভাঙার চেষ্টা করছেন আত্মীয়রা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের আসার আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হল কীভাবে? এমনকি বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের।