নিজস্ব প্রতিবেদন: হেফাজতে পিটিয়ে খুন নাকি আত্যহত্যা?  মল্লারপুর কাণ্ডে তুঙ্গে রাজনৈতিক কাজিয়া। আত্মহত্যাই করেছে ছেলে। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাবি বাবা মায়ের। শিখিয়ে পড়িয়ে বলাচ্ছে তৃণমূল, অভিযোগ করল বিজেপি। মিথ্যে অভিযোগ, সুর চড়িয়ে বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মল্লারপুর কাণ্ড নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি দাবি তোলে, মৃত কিশোরের পরিবার তাদের দলের সমর্থক। খুন না আত্মহত্যা? এ নিয়ে যখন রাজ্য জুড়ে শোরগোল তখনই পুলিসের দাবিতে সমর্থন করে মুখ খুললেন সদ্য সন্তানহারা, বাবা-মা। তাঁরা বলছেন, ছেলে আত্মহত্যা করেছে। আর মৃতের পরিবারের এই দাবিতেই ফের রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। মা-বাবা উপরে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়,''মিথ্যা বলছে বিজেপি।'' পুলিসের দাবি, আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোর। 


শুক্রবার হঠাত্ই বাবা-মায়ের কাছে খবর আসে ছেলে আর নেই।  কিন্তু কী হল বছর ১৪-১৫ ওই কিশোরের? অভিযোগ ৩ দিন আগেই ওই কিশোরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়
থানায় নিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, পুলিসের মারধরেই কিশোরের মৃত্যু হয়। লকআপের শৌচাগারে উদ্ধার হয় কিশোরের ঝুলন্ত দেহ 


খবর ছড়াতেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। পুলিসের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলে থানা ঘোরাও, অবরোধে সামিল হয় বিজেপিও। এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে পুলিস। তাদের দাবি, থানার বাইরে কিশোরকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজনেই সে লকআপের অন্দরে যায়। সেখানেই আত্মঘাতী হয় কিশোর। ৩ দিন ধরে লকআপে ধরে রাখার কথাও মানেনি পুলিস। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিশোর মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার ১২ ঘণ্টার মল্লার পুর বনধ ডেকেছে বিজেপি। 


আরও পড়ুন- চাই চাকরি, লক্ষ্মীপুজোয় ডিসেম্বরে বাংলায় শিল্প সম্মেলনের ঘোষণা BJP-র