চাই চাকরি, লক্ষ্মীপুজোয় ডিসেম্বরে বাংলায় শিল্প সম্মেলনের ঘোষণা BJP-র

হিন্দুত্বের রাজনীতিই বাংলায় এখনও পর্যন্ত সম্বল রাজ্য বিজেপির। 

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Oct 30, 2020, 09:19 PM IST
চাই চাকরি, লক্ষ্মীপুজোয় ডিসেম্বরে বাংলায় শিল্প সম্মেলনের ঘোষণা BJP-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় চাই শিল্প। চাই চাকরি। একুশের ভোটের আগে এটাই হতে চলেছে বিজেপির মূলমন্ত্র। লক্ষ্মীপুজোর দিনে সেই প্রচারের ঢাকে কাঠি দিল বিজেপি। ইজেডসিসি-তে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতাদের ঘোষণা, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাংলায় বসবে শিল্প সম্মেলনের আসর- কাউন্টার বিজনেস ইন্টারন্যাশনাল সামিট। ভার্চুয়াল হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত কোভিড পরিস্থিতি দেখে নেওয়া হবে। 

হিন্দুত্বের রাজনীতিই বাংলায় এখনও পর্যন্ত সম্বল রাজ্য বিজেপির। লোকসভা ভোটে ১৮টি সেই রাজনীতিরই ফসল বলে অভিমত অনেকের। সেই দলই এবার একুশে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বিজেপির কাছে কী বিকল্প রয়েছে? প্রশ্ন উঠছে জনমানসে। বিশেষ করে বাংলার শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা চাইছেন একটা ভালো চাকরি। এবার তাই 'চাকরি'র দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন নয়, বরং রীতিমতো শিল্প সম্মেলনের ডাক দিল বিজেপি নেতৃত্ব।

ইজেডসিসি-তে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন,''বাংলায় ইতিবাচক রাজনীতি করতে চায় বিজেপি। এখানে যুবকদের চাই কর্মসংস্থান।''  বিজেপি তো রাজ্যের ক্ষমতায় নেই, তাহলে কীভাবে জমির সংস্থান হবে? স্বপনবাবু বলেন,''জমি দেওয়ার প্রশ্নে কোনও ভাবনা নেই। আমরা চাইব, পশ্চিমবঙ্গের অজস্র বন্ধ কারখানার জমিতে হোক শিল্প। পরিত্যক্ত জমি শিল্প করে তৈরি করব। সিঙ্গুরের বিষয়টি দেখছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।''

রাজ্য সরকারকে বিঁধে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন,''পরিকাঠামো ও আইনশৃঙ্খলা নেই রাজ্যে। কাকে কত খাওয়ালেন, কোন হোটেলে রাখলেন ও কত দামি গাড়ি চড়ালেন, সে সব করে শিল্প আসে না।'' রন্তিদেব সেনগুপ্তর কথায়,'' গত ১০ বছর বাংলায় কোনও বড় শিল্প আসেনি। বাংলার হৃত গৌরব ফেরাতেই বিজেপির এই উদ্যোগ।'' বাংলার বেকাররা কল-কারখানা চাইছেন বলে মন্তব্য করেন শঙ্কুদেব পন্ডা।   

ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধী দল শিল্প সম্মেলন করছে এমনটা বেনজির! বিজেপি হাঁটছে সেই পথে। তবে এমন ভাবনা কার? লক্ষণীয় এ দিন শিল্প সম্মেলনের ঘোষণায় নেই দিলীপ ঘোষ বা মুকুল রায়রা। আছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, শিশির বাজোরিয়া, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ রন্তিদেব সেনগুপ্তরা। অনেকেই বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সংকেত পেয়েই তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। নিশ্চিতভাবে সম্মতি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

বিজেপির শিল্প সম্মেলনে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ডাকা হবে তাবড় শিল্পপতিদেরও। ভুলে গেলে চলবে না বিজেপিই এখন দিল্লির মসনদে। ফলে শিল্পপতিদের পক্ষে তাদের আমন্ত্রণ ফেরানো কার্যত অসম্ভব। ফলে একুশের ভোট শুধু রাম ভরসায় নয়, বরং কর্মসংস্থানই হতে চলেছে বিজেপির প্রচারমন্ত্র। বামেরা ইতিমধ্যেই বলছে,'লড়াইটা জাতের নয়, ভাতের।' বিজেপিও এবার সেই ভাতের লড়াইয়ে। 

আরও পড়ুন- পুলওয়ামা-স্বীকারোক্তি পাক মন্ত্রীর, দেশকে এবার জবাব দিন মমতা, রাহুল: BJP

.