নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে ফের একবার দলীয় নেতাদের বিঁধে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, যাঁরা দলের ক্ষতি করেছে তাদের সরিয়ে দিয়েছে নেতৃত্ব। দলছাড়া তৃণমূলকর্মীদের এভাবেই ফের দলে আহ্বান জানান তিনি। সঙ্গে সাবধান করলেন বিজেপি থেকেও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলের একাধিক এলাকায় উড়েছে গেরুয়া পতাকা। এর পরই সেখানে সংগঠন ধরে রাখতে সক্রিয় হয়েছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু এক সময় তৃণমূলের গড়ে হারের ক্ষত যে তাঁর সারেনি তা বোঝা গেল এদিন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লির চোখ রাঙানি আমাদের দেখাবে না, দিল্লিতে দুদিন বাদে শূন্য হয়ে যাবে। ভারতবর্ষ থেকে বিজেপির বিদায় হবে। 


একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পশ্চিমাঞ্চলের একাংশ তাঁর দলের থেকে মুখ ফেরালেও ওই এলাকার বাসিন্দাদের থেকে মুখ ফেরাবে না সরকার। যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে নেই সেখানে জেলা পরিষদের মাধ্যমে কাজ করবে নবান্ন। মমতা এদিন বলেন, যেখানে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি নেই সেখানে জেলা পরিষদের মাধ্যমে উন্নয়ন করবে রাজ্য সরকার। পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনার নির্দেশ দেন তিনি। 


১৫ দিন পর গুলিতে বিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাবার লড়াই শেষ


স্থানীয়দের তৃণমূলে ফেরাতে মমতা বলেন, 'কোনও কোনও নেতা আপনাদের ভুল বুঝিয়েছেন। ভুল বুঝে যাদের জিতিয়েছেন তাঁরা আপনাদের ভিটেমাটি বিক্রি করে দেবে। আমি কখনো মানুষকে ভুল বুঝি না। তাই যে যেখানে আছেন ফিরে আসুন।'


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমের জেলাগুলিতে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল। সেজন্য পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় সংগঠন পুনরুদ্ধারের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।