নিজস্ব প্রতিবেদন:  ধর্মের নামে এরাজ্যে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা। পুলিস কোনওভাবে সমঝোতা করলে এবার পুলিসের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৈলানের বৈঠক থেকে চরম হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা হয়েছিল, রামনবমীতে মিছিল করা যাবে, তবে তা কখনই অস্ত্র হাতে নয়। এ বিষয়ে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে পুলিসকেও। কিন্তু তারপরও রামনবমীকে হাতিয়ার করে রাজ্যজুড়ে হল অস্ত্রের ঝলকানি। রাস্তায় রাস্তায় দেখা গেল গেরুয়া আস্ফালন। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়- অস্ত্র হাতে মিছিল করলেন বিজেপির প্রথম স্তরের নেত্রীরা। মিছিল ঘিরে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসে।


আরও পড়ুন: মহা বিপদে লকেট চট্টোপাধ্যায়!


কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিসকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন এই অবস্থা? পুলিসের ভূমিকা নিয়েই যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  চরম ক্ষুব্ধ, তা সোমবার পৈলানের বৈঠকেই বোঝা গেল।  বুঝিয়ে দিলেন সাম্প্রদায়িক ভারসাম্য নষ্ট হলে রেয়াত করা হবে না পুলিসকেও।


আরও পড়ুন: শোওয়ার ঘরের খাটের নিচেই লুকিয়ে রয়েছে সে, আঁচ করেই চা বানিয়ে আনলেন গৃহবধূ!


ডিজিকে হুঁশিয়ার দিয়ে বললেন, ‘কড়া ব্যবস্থা নেওয়া  হবে। আজ রাম নবমীর মিছিলের কোনও অনুমতি নেই।এলাকার দিকে নজর রাখুন। অস্ত্র মিছিলে যাঁরা পা মিলিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।‘ প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি ছড়ায়। রানিগঞ্জে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়, তাতে গুরুতর আহত হন পুলিস আধিকারিকও। 


আরও পড়ুন: কলিং বেল বাজিয়ে ভিতরে ঢুকল ওরা, গৃহবধূ বাথরুমে, তারপর...


হিন্দুত্বের জিগির তুলে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি যে এরাজ্যে বরদাস্ত করা হবে না, সেকথা বারবার গেরুয়া শিবিরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের বৈঠক থেকে আবারও সেই বার্তা দিলেন।


অন্যদিকে, ভাঙড়ের সমস্যা দ্রুত মেটাতে জেলাশাসককে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র গ্রামবাসীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।