নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঁকুড়ার পর দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভাতেও আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ নিয়ে দল ও প্রশাসনকে সতর্ক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ৭ মাসে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। সেদিকে খেয়াল নেই। আদিবাসীদের ধর্ম পরিবর্তন করছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''অনেক দুষ্টু লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের অনেক টাকা আছে। ৭ মাসে ৩০০ টাকা বেড়েছে গ্যাসের দাম। সেদিকে খেয়াল নেই। আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ করতে গিয়ে মালদহে কয়েকটা ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা গরিব হতে পারি তবে এটা মানবিক সরকার। পুলিস দেখলে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দেবে। ২৫ হাজার টাকা করে রূপশ্রী তো আছেই। কোনও ধর্মান্তরণ করতে দেব না।'' 


চলতি মাসে পুরাতন মালদহে টাকা দিয়ে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে। ওই গণবিবাহের বিরুদ্ধে সরব হয় আদিবাসীদের সমাজের একাংশ। পরে পুলিস এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। ওই প্রসঙ্গ তুলে বুধবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,''বদমাইশি করে মালদহে আদিবাসী মেয়েগুলিকে ধর্মান্তরণ করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল বিজেপির লোকগুলো। আমরা আটকাই। শুধু আটকানোই, পুলিস ওদের বিয়ে দিয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও হয়েছিল।''


বলে রাখি, ২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন মালদহে গণবিবাহ ঘিরে বাঁধে তুলকালাম। আটমাইলে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের গণবিবাহের ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পুরাতন মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিবাহ অনুষ্ঠান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ উড়িয়ে ভিএইচপি জানায়, আদিবাসীরা সমাজেরই অংশ। বিয়ের অনুষ্ঠানের যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরাই এসেছিলেন। আদিবাসীদের ভুল বোঝানো হয়েছে।


আরও পড়ুন- দার্জিলিঙের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় বিজেপি, স্বামীর টুইটে মন্তব্য দিলীপের