নিজস্ব প্রতিবেদন : বাজেট ঘোষণার আগে থেকেই কানাঘুষো চলছিল। এবারের বাজেটে (Budget) তফশিলি জাতি-উপজাতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নতুন কিছু ঘোষণা থাকতে পারে, বাড়তে পারে বরাদ্দ। এমনটা মনে করা হচ্ছিল। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বাজেট ঘোষণা করতেই দেখা গেল, তফশিলি জাতি-উপজাতির (SC-ST) জন্য ঘোষণা করা হয়েছে দুটি নতুন প্রকল্প। তফশিলি জাতির মানুষদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে 'বন্ধু' প্রকল্প। তফশিলি উপজাতির জন্য ঘোষণা করা হয়েছে 'জয় জহর' প্রকল্প। পাশাপাশি, সংখ্যালঘু, অনগ্রসর জাতি, উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একনজরে প্রকল্প ও বরাদ্দ-


* তফশিলি জাতির জন্য নতুন 'বন্ধু' প্রকল্প। 'বন্ধু' প্রকল্পে তফশিলি জাতি বয়স্কদের মাসে ১০০০ টাকা করে বার্ধ্যকভাতা দেওয়া হবে। এর জন্য ২৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
* তফশিলি উপজাতিদের জন্য নয়া 'জয় জহর প্রকল্প'। 'জয় জহর' প্রকল্পের ক্ষেত্রে তফশিলি উপজাতি প্রবীণদের ১০০০ টাকা করে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে। এর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
* অনগ্রসর জাতির উন্নয়নে ৮০৫.১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
* উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৩৫ কোটি টাকা।
* একইসঙ্গে সংখ্যালঘুদের জন্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।


এখন বাজেট পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে জনজাতিদের নয়া প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নাম না করে নিশানা করেছেন বিজেপিকে। বিয়ে দেওয়ার নামে ধর্মান্তরণ করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একটা রাজনৈতিক দল আদিবাসীদের বিয়ে দেওয়ার নামে ধর্মান্তরণ করছিল। মালদায় ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা তাই আদিবাসীদের সব দিকে জোর দিচ্ছি। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল। সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। নতুন দুই প্রকল্পে ৬০ বছর হলে সরকারের তরফে ভাতা পাবেন।"


আরও পড়ুন, রাজ্য বাজেট ২০২০ : বাংলায় বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ , বেকারদের জন্য 'কর্মসাথী'র ঘোষণা


আরও পড়ুন, বাজেট বক্তৃতা লাইভ, আর রাজ্যপালের ভাষণে সেন্সরশিপ? ফের তোপ ধনখড়ের


তৃণমূল শিবিরের কানাঘুষো বলছে, নির্বাচনী রণনীতি গুরু প্রশান্ত কিশোর রিপোর্ট দেন, জনজাতিদের পকেটে নিয়ে এলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসন নিশ্চিত। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুলের ভোটব্যাঙ্ক কবজা করেছে বিজেপি। সেই রিপোর্টেরই প্রতিফলন এবার বাজেটে।