জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আদিবাসীদের জন্য জমির পাট্টা, বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ভাতা, আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে এক লাখেরও বেশি ঘরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারে আজ এক সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যে আদিবাসীদের জন্য ট্রাইবাল সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তা দিয়ে আদিবাসীরা সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধে নিতে পারবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'খুনি' কিশোর ১২ বছর পড়ে আইনজীবী, আদালতে লড়ে পেলেন 'মুক্তি'


ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চা বাগানের প্রতিটি শ্রমিক জমির পাট্টা পাবেন। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। এর জন্য এলাকায় অনেক জমি অধিগ্রহণ করেছি। জেলা শাসককে বলব, এখনও যেসব জমি নেওয়া হয়নি তা নিয়ে নিন। আজ ৬ হাজার শ্রমিককে পাট্টা দেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি মিলিয়ে এবার দেওয়া হবে মোট ১৩ হাজার জমির পাট্টা। এর জন্যই এসেছি। বাকী জায়গাগুলিতে পরিস্থিতিতে রিভিউ করে জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমিধ্যেই আমরা চা সুন্দরী প্রকল্পে ১ হাজার মানুষকে সাহায্য করেছি। কিন্তু আমার মনে হয় যে জমি দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজারা টাকা দিই তাহলে আপনারা ঘর বানিয়ে নিতে পারবেন। আগামী দিন এটা আমরা করব।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু আলিপুদুয়ারে ৬,৪৪২টি জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার চালু হচ্ছে। জেলাশাসককে দেখে মমতা বলেন, আমার কাছে খবর আছে জয়গাঁওয়ের কাছে যেসব জায়গাঁ এলাকায় একটি ভুটিয়া বস্তি নদীর মধ্যে চলে গিয়েছে। ওই বস্তি ঠিক করা হবে। যেসব চা বাগান বন্ধ রয়েছে সেখানে শ্রমিকদের সমস্যা হচ্ছে তাদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে দিয়ে দিন। ওদের বিদ্যুত্, জলের ব্যবস্থা করুন। এখান বহু উপজাতি মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে কাগজ নেই। যেসব পরিবারের একজনের কাছেও ট্রাইবাল সার্টিফিকেট রয়েছে তারা সেই কাগজ নিয়ে আসুন ও দুয়ারে সরকারে নাম লেখান। মুখ্য সচিবকে বলে দেব যাদের সার্টিফিকেট নেই তাদের জন্য যেন সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় জানুয়ারি মাসের মধ্যে। এতে তারা সরকারি সব প্রকল্পের সাহায্য পেতে পারেন। আপনারাও আমাদের সহায়তা করুন। আরও একটা কথা, বহু ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে। তার রিভিউ করা হচ্ছে।


মমতা বলেন, এলাকার শ্রমিক মানুষ ভালো থাকুন। আমাদের কন্যাশ্রীরা ভালো থাকুন। আপনাদের সঙ্গে দিদি আছেন। চিন্তা করবেন না। দিদি 'ওয়াদা' করলে তা পুরণ করে। আমরা বিজেপির মতো নই। আপনারা তো জানানে ওরা বলেছিল ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। দেখুন আবার সেই নাটক চালু হবে। ওদের কথায় ভুলবেন না। ২ লাখ ছেলেমেয়েকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এখানে আপনারা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। এখানে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ১ লাখ ২০ হাজার ঘরে জল পৌঁছে যাবে। কেন্দ্র বিজ্ঞাপন দিয়ে অনের কিছুই বলে। কিন্তু জমি দেয় রাজ্য সরকার। রক্ষণাবেক্ষণ করে রাজ্য সরকার। আর কথা বলে বিজেপি। আপনাদের নতুন জেলা আমরা দিয়েছি। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আমরা করে দিয়েছি। লক্ষ্ণীর ভান্ডার পাবেন। ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে পেনশন পাবেন। একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি না। কারণ কেন্দ্র টাা দিচ্ছে না। জিএসটি পুরোটাই নিয়ে যায় কেন্দ্র।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)