নিজস্ব প্রতিবেদন : পাথরপ্রতিমার প্রশাসনিক সভা থেকে গঙ্গাসাগর মেলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পাথরপ্রতিমার প্রশাসনিক বৈঠকে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন, "বারবার কেন্দ্রকে বলেছি। চেয়েছিলাম একটা লোহার ব্রিজ করে দিক, দেয়নি। আমার টাকা হলে আমি লোহার ব্রিজ বানিয়ে দেব।" বলেন, "আমি গঙ্গাসাগরের জন্য বার বার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলা হয়, সেখানে কেন্দ্র হাজার হাজার টাকা দেয়। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এক টাকা দেয় না। আমরা ভিক্ষাও চাই না। আমি শুধু বলেছিলাম, একটা লোহার ব্রিজ তৈরি করে দিন (মুড়িগঙ্গার উপরে), দেয়নি।  আমি কথা দিচ্ছি আমরা যখন ৫০,০০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করে দিতে পারব, আমার প্রথম কাজ হবে ওই ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, লট ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত লোহার ব্রিজ করার কথা ছিল। ৪ বছর আগে তাজপুর বন্দর হওয়ার সময় এই ব্রিজ তৈরির প্রসঙ্গ উঠেছিল। বন্দর হওয়ার সময় কেন্দ্র ৭৪ শতাংশ শেয়ার চেয়েছিল। বাকি ২৬ শতাংশ শেয়ার রাজ্য পাবে বলে প্রস্তাব দিয়েছিল। সেইসময় একটি শর্তে কেন্দ্রের এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল মমতা সরকার। ৭৪ শতাংশ শেয়ার দেওয়ার বদলে লট ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত লোহার ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার কথা কেন্দ্রকে বলেছিল রাজ্য সরকার।


সমুদ্রের উপর সাড়ে ৪ কিলোমিটার ব্রিজ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বার বার বললেও এই ৪ বছরে ব্রিজ তৈরি হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ব্রিজ বানাইনি। ব্রিজ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যও নেই। আজ পাথরপ্রতিমার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে CAA, NRC-এর বিরোধিতায় ফের সরব হওয়ার পাশাপাশি গঙ্গাসাগর নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও জোর সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, বাঁকুড়া-বিনপুরের জঙ্গলে পাওয়া পায়ের ছাপ এক বাঘিনীর! নিশ্চিত করলেন PCCF


একইসঙ্গে জানান, নতুন জেলা হবে সুন্দরবন। উল্লেখ্য, সুন্দরবনকে আগেই পুলিস জেলা করা হয়েছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান প্রশাসনিক জেলা হবে সুন্দরবন। সুন্দরবনের মানুষের অনেক দূর যেতে হয়। সেকারণে অনক কষ্ট সহ্য করতে হয় সুন্দরবাসীকে। সেই কষ্ট লাঘব করতেই এবার নতুন জেলা হবে সুন্দরবন।