বাঁকুড়া-বিনপুরের জঙ্গলে পাওয়া পায়ের ছাপ এক বাঘিনীর! নিশ্চিত করলেন PCCF
আতঙ্কে যাতে বাঘটির কেউ কোনও ক্ষতি না করে ফেলে সে সম্পর্কে সচেতন করা করা হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যাওয়া অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ আসলে বাঘের থাবার ছাপ-ই! পাগমার্কের ছবি পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে জানালেন PCCF রবিকান্ত সিনহা। জানা গিয়েছে, পায়ের ছাপটি একটি বাঘিনীর। একই বাঘিনীর পায়ের ছাপ বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই জায়গার জঙ্গলে মিলেছে।
শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। ভিজে ছিল মাটি। সেই ভিজে মাটিতে শনিবার অজানা জন্তুর একের পর এক পায়ের ছাপ চোখে পড়ে বাঁকুড়ার বারিকুল ও খেজুরখন্না গ্রামের বাসিন্দাদের। আজানা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাঘের আতঙ্ক ছড়ায় জঙ্গলমহলে। শুধু বাকুঁড়ার বারিকুল ও খেজুরকন্না গ্রাম নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুরেও অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বনকর্মীরা ছাপটি পরীক্ষা করেন। কিন্তু, নিশ্চিত হতে না পারায় তাঁরা গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। রবিবারও ফের একইধরণের পায়ের ছাপ মেলে একই এলাকায়।
এরপর সোমবার পায়ের ছাপ পরীক্ষা করতে এলাকায় আসেন বন দফতরের বিশেষজ্ঞরা। ছাপ দেখে তাঁরা প্রাথমিকভাবে বাঘের পায়ের চিহ্ন বলেই অনুমান করেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য পায়ের ছাপের ছবি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। একইসঙ্গে সোমবারই বিনপুরের জঙ্গলে ৪টি খাঁচা পাতা হয়। যদিও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খাঁচায় কোনও বাঘ ধরা পড়েনি। একইসঙ্গে বাঘের খোঁজে জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নতুন করে জঙ্গলে লোকেশন খোজার কাঁজ শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। স্থির হয়, নির্দিষ্ট লোকেশনে পর পর ১০টি ক্যামেরা বসানো হবে। এরমধ্যেই বন দফতরের তরফে নিশ্চিত করে জানাল হল যে, আর অনুমান নয়, ওই পায়ের ছাপ একটি বাঘিনীর।
আরও পড়ুন, গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থী থেকে পুলিস, সবাইকেই ৫ লাখ টাকার বিমা দেবে রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত, আতঙ্কের জেরে ফের যাতে লালগড়ের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক রয়েছে বন দফতর। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। একাধারে এলাকাবাসীকে একাধারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি আতঙ্কে যাতে বাঘটির কেউ কোনও ক্ষতি না করে ফেলে সে সম্পর্কে সচেতন করা করা হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ৬টি ক্যামেরা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। আরও ৪টি ক্যামেরা যাচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ট্রাঙ্কুলাইজারও।