কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টার্গেট ৪২-এ বিয়াল্লিশ। আর সেই মন্ত্র নিতেই নজরুল মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। মোদী বিরোধিতা তো থাকবেই কিন্তু দলকে শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা আগে কী ভোকাল টনিক দেন মমতা, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই। এই বিয়াল্লিশে শ্যেন নজর বিজেপিরও। আর তাই ডিফেন্সে গিয়ে অ্যাটাকই মমতার স্ট্র্যাটেজি। 


'ভারতবর্ষে আগামীদিনে পরিবর্তন চাই-ই চাই। আমরা ৩৪ বছরের শাসন ফেলেছি। আমরাই ৫ বছরের মোদী সরকারকে ফেলব।' মমতার এই মন্তব্যই নজরুল মঞ্চে কর্মীদের মধ্যে ফের সঞ্চার করল পুরনো 'জোশ'। 


শাসকদলে থেকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা হয় না। কিন্তু মোদী বিরোধিতায় মমতা রাস্তায় নামলেন। আর তাই বেহালায় যখন মাঝরাতে বাইক নিয়ে তাণ্ডব চালানো হয় বলে দলনেত্রীর অভিযোগ, তখন দলের নেতারা কী করছিলেন সে প্রশ্নই তোলেন তিনি। এমনকী, পাশে বসা মন্ত্রী দলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও প্রশ্ন করেন তিনি। 'রাত ১টায় কী করে বাইক নিয়ে কী করে ওরা তাণ্ডব করছে। আপনারা কী করছিলেন। জানেন না কী করতে হয়? পুলিসকে ধরিয়ে দিতে হয়। কেউ এমনি জানলে খবর দেবেন পুলিসকে। না হলে আমার বাড়ির দরজা খোলা আছে। সেখানে জানাবেন।' 


বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে দলের ভাঙন রুখতে মরিয়া মমতা


এদিনের বৈঠকে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মমতার প্রশ্ন, 'ভয় পাচ্ছেন? দুর্বল হচ্ছেন? এই প্রশ্ন তুলে দলের মধ্যে সেই পুরনো আন্দোলনের ক্ষিদেকে জাগানোর চেষ্টা চালালেন তিনি। আবার পুরনো দিনের মতো জাগতে নির্দেশ দলনেত্রীর। ৪২/৪২ কথার কথা নয়। তা নিশ্চিত করতে দলের নেতাদের 'ইন অ্যাকশন' হওয়ার নির্দেশ দেন মমতা।


গত কয়েকদিনে গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। খুন হয়েছেন দলের বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। সব ক্ষেত্রেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। তবে ঘটনাগুলিতে বারবারই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব।