নিজস্ব প্রতিবেদন : কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেন। ফোনে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। পাশে আছেন বলে আশ্বাস দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আপনার পাশে আছি। আপনি কোনও চিন্তা করবেন না। দোষী দুই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি খানিকটা আশ্বস্ত বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বলেন, "আমি কলেজ যাব। ভয় পাই না। আমি বিচার চাই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি পাশে আছেন। প্রয়োজন পরলে ফোন করতে।" কলেজে গিয়ে আজ কালকের ঘটনার প্রতিবাদে অধ্যাপকদের বয়কটেও সামিল হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে, ধৃতরা জামিন পেয়ে গেল কিনা, সেদিকেও তাঁর নজর থাকবে বলে সাফ জানান সুব্রতবাবু।


পাশাপাশি, অধ্যাপক  সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জি ২৪ ঘণ্টাকে আরও বলেন, "২০১১ সালের পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অনেকবারই ভেবেছি চাকরি ছেড়ে দেব। রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে ভাবতে বাধ্য হয়েছি।" তাঁর অভিযোগ, তিন বছর ধরে কলেজে বেআইনিভাবে ছাত্র সংসদ চলছে। আগেও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টে তাঁদেরই হেনস্থা হতে হয়েছে। তবে কালকের ঘটনার পর স্ত্রী-মেয়ে আরও সন্ত্রস্ত, ভীত, আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও তিনি 'লড়াইয়ের ময়দান' ছেড়ে যাবেন না বলে সাফ জানান কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।



উল্লেখ্য, এমএ ছাত্রীদের সঙ্গে ডিগ্রী কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের অশান্তিতে বুধবার অশান্তি ছড়ায় হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে। 'তৃণমূল জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' জিন্দাবাদ স্লোগান না দেওয়ায় ছাত্রীদের মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে কলেজের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। এমনকি কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে টিএমসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।


জানা গিয়েছে, গতকাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এমএ ফাইনাল বর্ষের ছাত্রীরা বেঞ্চে উঠে সেলফি তুলছিলেন। তাঁদেরকে বেঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন টিএমসিপি সমর্থকরা। এই নিয়েই দু-পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর অধ্যাপকদের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো বিবাদ মিটমাট হয়ে গেলেও, স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। এক ছাত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, কলেজ গেটে তালা মেরে আটকে রাখা হয় এমএ ছাত্রীদের।


আরও পড়ুন, স্বামী অনুপমকে খুন করছে স্ত্রী মনুয়া ও প্রেমিক অজিতই, জানিয়ে দিল আদালত


এরপর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রতবাবু আটকে রাখা ছাত্রীদের নিয়ে কলেজ থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে, অভিযোগ তাঁর উপর চড়াও হন টিএমসিপি সমর্থকরা। কলেজ গেটের সামনে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কিল, ঘুষি মারা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এদিন দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিস।