নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজে গাফিলতি চলতেই থাকলে ঠিকাদারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আইন আনা হবে। বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে জানালেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ভূমি ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরে ঘুঘুর বাসা ভাঙার জন্যও মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন মমতা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ৭ লক্ষ লিটারের জলের ট্যাঙ্ক। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার ফতেডাঙার এই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কংসাবতীর জল বাড়ি বাড়ি পৌছে দিতে বছর তিনেক আগে সেটির উদ্বোধন হয়েছিল। ৩ বছরের মধ্যে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। কাজে গাফিলতি হলে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মমতা বলেন, ''২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে এখানে। একটা প্রজেক্ট দেওয়া হল, ৩ বছরে ভেঙে পড়ে গেল। কোন ঠিকাদার কাজ করছে শুনি? ওই ঠিকাদারকে কাজ করতে হবে। এফআইআর করো। তা না হলে আইন এনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করব।''   


বাঁকুড়া জেলায় জলের সমস্যা বহুদিনের। সমস্যা মেটাতে তৈরি হয়েছে, পরিশ্রুত পানীয় জলের নানা প্রকল্প। কিন্তু, জেলার নানা জায়গায় বাড়ি বাড়ি পাইপের মাধ্যমে জল পৌছয়নি। এ নিয়ে এদিন জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রেই সরকারি দফতরে দুর্নীতির খবর যে তাঁর জানা, সেকথা আমলাদের মনে করিয়ে দেন মমতা। 


সরকারি ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। টেন্ডার ডাকার দায়িত্বে যাঁরা সেই সমস্ত দফতরের অফিসারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু, কাজ খারাপ হলে সরকারের দিকে আঙুল ওঠে।ভুগতে হয় শাসকদলকে। ঠিকাদারদের সঙ্গেও শাসকদলের নেতাদের যোগ-সাজশের অভিযোগ আছে। পুরভোট ও সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এদিন, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে জনপ্রতিনিধি- সবাইকেই কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ,''দরকার হলে কেন্দ্রীয়ভাবে টেন্ডার করুন। পাবলিক যেন সাফার না করে। সঠিকভাবে করুন না হলে সরকার করবে।''


সারেঙ্গায় জলের ট্যাঙ্কের ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁকেই নতুন করে ট্যাঙ্ক তৈরি করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। যে কোনও সরকারি কাজেই ৩ থেকে ৫ বছর, ঠিকাদারের ওপর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- বদমাইশি করে মালদহে আদিবাসী মেয়েগুলিকে ধর্মান্তরণ করে বিয়ে দিচ্ছিল বিজেপি: মমতা