নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিষদীয় মন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা আগলে রাখার বিষয়ে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জুরি মেলা ভার, সেকথা বুধবার বিধানসভা চত্বরে নিজমুখে স্বীকার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছাত্রাবস্থা থেকেই কংগ্রেসি ঘরানার রাজনীতিতে যুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বিখ্যাত বেসরকারি সংস্থার মানব সম্পদ আধিকারিকের দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষ হাতে। কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই, পার্থবাবুও থেকেছেন নেত্রীর সঙ্গেই। বাম আমলের শেষ দফায় যখন ৩০ বিধায়ক নিয়ে বিধানসভার অন্দরে কোণঠাসা তৃণমূল, সে সময় নিপূনভাবে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- নিরাপত্তা কমল মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের


এরপর ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্ব পান পার্থবাবু। এরপর তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক সামলে বর্তমানে তিনি রাজ্যের শিক্ষা ও পরিষদীয় মন্ত্রী। কিন্তু, এ তো গেল প্রশাসনিক দায়িত্বের বহর। একই সঙ্গে সুদীর্ঘকাল ধরে তৃণমূল কংগ্রেসেও দলীয় দায়িত্ব পালন করে আসছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনিই দলের মহাসচিব। পাশাপাশি, পরিষদীয় মন্ত্রকও তাঁর হাতে থাকায়, তৃণমূলের 'বিধানসভা টিম' সামলানোর অনেকটা দায়িত্বই তাঁর কাঁধে। আর সেই কাজ সুদক্ষভাবে পরিচালনা করতে পারার জন্যই আজ খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে মিলল হাতে গরম সার্টিফিকেট। পাশাপাশি, তৃণমূলের 'টিম পার্লামেন্ট' ভাল হলেও, পার্থবাবুর 'বিধানসভা টিম' যে সেরা, এদিন সে কথাও দ্বিধাহীনভাবে জানিয়েছেন মমতা।  


আরও পড়ুন- স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ মেয়র শোভনের


সবার সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এমন দরাজ সার্টিফিকেট পাওয়ায় যে পার্থর নম্বর অনেকটাই বাড়ল, সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- দাদার কীর্তিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল, তাই কি ব্রাত্য তাপস?