ওয়েব ডেস্ক : মোর্চার ওপর আরও চাপ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুংদের খাস তালুক দার্জিলিংয়েই তৈরি হবে রাজ্যের নতুন সচিবালয়। ঘোষণা মমতার। পাহাড়ে রাজ্য সরকারের ভালো কাজ কেউ রুখতে পারবে না। মরিয়া মোর্চাকে চ্যালেঞ্জ মমতার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বঙ্গাল ভার্সেস গোর্খাল্যান্ড!


আড়াআড়ি বিভাজনের স্লোগান সামনে রেখে পুরভোটে লড়তে নেমেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রাজ্যের উন্নয়ন ইস্যুর সঙ্গে টক্কর দিতে গোর্খাল্যান্ডের জিগিরই তাদের হাতিয়ার। ষড়যন্ত্র আঁচ করে, বিন্দুমাত্র দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের মিরিক জয়ের পর, গোটা মন্ত্রিসভা নিয়ে পাহাড়ে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় থেকে সুন্দরবন, রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দার্জিলিংয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক। অখণ্ড রাজ্যের বার্তা দিতে এটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল।


মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ছিল পাহাড়ের উন্নয়নের কথা। চ্যালেঞ্জটা নিতেই পারত মোর্চা। GTA-তে এখনও তারাই সর্বেসর্বা। কিন্তু উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা কবেই বা ছিলেন! এবারও ধ্বংসের রাজনীতির পুরনো পথে হাঁটলেন তাঁরা।  


আরও পড়ুন- উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী, আন্দোলনে মোর্চা...পাহাড়ে জ্বলল আগুন!


কিন্তু এত কাণ্ড করেও পাহাড় থেকে প্রশাসনের রাশ যে আলগা করা যাবে না, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তা স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, "পাহাড়ে সরকারের ভাল কাজ কেউ আটকাতে পারবে না। মোর্চার বিক্ষোভে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। এর পিছনে বিজেপি'র উসকানি আছে।" পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল মোর্চার কাছে বড় থ্রেট। গুরুংদের হার্টবিট বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, মোর্চার আন-বান-শান দার্জিলিংয়ে তৈরি হবে মিনি নবান্ন।


দার্জিলিং সার্কিট হাউসের পাশে PWD বিল্ডিংয়ে ৬ মাসের মধ্যে শুরু হবে নতুন সচিবালয় তৈরির কাজ। অর্থাত্‍ মোর্চার নাকের ডগায় ছড়ি ঘোরাবে রাজ্য প্রশাসন।