নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। এবার দু বছর বাদেই বিধানসভা ভোট। জমি পুনরুদ্ধারে তাই এক ইঞ্চি সুযোগ ছাড়তে রাজি নন তৃণমূল নেত্রী। আর জমি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যোগ দিচ্ছেন তিনি জন সংযোগে। আগামিকাল রথযাত্রা। এই রথযাত্রা উপলক্ষে জনসংযোগের বার্তা দিতে এই প্রথমবার শ্রীরামরপুর মাহেশে পা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, শহরে রথযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রীকে অংশ নিতে দেখা গেলেও, এর আগে কখনও জেলায় আসতে দেখা যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমোকে। প্রতিবার ইসকনের রথযাত্রায় অংশ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সূচিতে কিছুটা বদল। শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রথমবার মাহেশের রথে অংশ নেবেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুলিস প্রশাসন থেকে থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষ সর্বত্রই ব্যস্ততা তুঙ্গে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে 'স্বাগত' জানাতে প্রস্তুত বিজেপিও।


সূত্রে খবর, রথের দিন এবার 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেবে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই এই স্লোগান দেওয়া হবে। বিজেপির দাবি, "রাম-জগন্নাথ তো আলাদা কিছু নয়। শ্রীকৃষ্ণ-ই বিভিন্ন সময়ে অবতারে অবতীর্ণ হয়েছেন। তাই জগন্নাথের রথযাত্রায় 'জয় শ্রী রাম' বলা যেতেই পারে।" প্রসঙ্গত, রথের দিন ভক্তরা 'জয় জগন্নাথ' ধ্বনি দিয়ে থাকে। আর সেটাই দস্তুর। কিন্তু এবার রথ ঘিরেও রাজনৈতিক বার্তা দিতে নয়া কৌশল নিচ্ছে বিজেপি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দেওয়া নিয়ে এর আগে অশান্তি বেঁধেছে ভাটপাড়া ও কাঁচড়াপাড়ায়।    


আরও পড়ুন, ২২টি রথযাত্রা কমিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির, শুরু বিতর্ক


বিজেপির দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের অভিযোগ, "রামকে নিয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। রথের দিন জয় জগন্নাথ সবাই বলে। কেউ  জয় শ্রী রাম বলে না। জয় শ্রী রাম রামনবমীর দিন বলা হয়।" তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিকাল মাহেশে ৫ হাজার কর্মী থাকবেন। পর্যাপ্ত পুলিস থাকবে। তাই অশান্তি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা-ই নেই। অন্যদিকে, জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইতরা বলছেন, "রাম আর জগন্নাথে কোনও তফাত নেই। তাঁর কাছে সবাই সমান। বিজেপি তৃণমূল সবাই আসুক। সুষ্ঠুভাবে জগন্নাথের রথ মাসির বাড়ি পাড়ি দিক।"