নিজস্ব প্রতিবেদন:  লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, তিনি দেশের চৌকিদার। সর্বদা দেশের নজর রাখেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় কার্যত একই সুর শোনা গেল। শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উত্সবের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাহারাদার তিনি। শুধু ভোটের সময় নয়। ৩৬৫ দিনই তিনি এই পাহারাদারির কাজ করে আসছেন বলে জানান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চার দিনের সফরে ফের উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদে মুখর তো রয়েছেনই, তার সঙ্গে সেখানে বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “উত্তরবঙ্গের মাটিতে সন্ত্রাস হতে দেব না। এনআরসি নিয়ে চিন্তা করারও কিছু নেই। আপনাদের সঙ্গে আমি আছি। আর আমার সঙ্গে রয়েছে গোটা বাংলা। বাইরে কে কী বলল, তা নিয়ে ভাববেন না।” উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে উত্তরবঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর হামলায় অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের দিকে। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতর তৈরি হয়। এ দিন বিজেপির নাম না করে সে প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, একটা রাজনৈতিক দল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিল। পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছি। এই মাটিতে লিঞ্চিং হতে দেব না। কোনও ভাগাভাগিকে মদত দিতে দেবো না।


আরও পড়ুন- ঘটনার সময় নাবালক ছিলাম, নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত পবনের আর্জি ফেরাল সুপ্রিম কোর্ট


সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গে এসে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখেই এই আন্দোলন জোরদার করতে চেয়েছেন। এ দিন মমতা বলেন, “আমরা সবাই নাগরিক। এ দেশ কেন ভাগ করবো। ছাত্রছাত্রীরা মানুষ হবে এটাই আসল কথা।”