নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্যব্যাপী হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, 'লুঙ্গিপরা সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার সন্ধ্যায় বিধাননগরে নিজের বাসভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন দিলীপবাবু। শুরুতেই সুর সপ্তমে তুলে তিনি বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর মদতে যে তাণ্ডব চলছিল এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন তিনি।' দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, 'লুঙ্গি পরা সন্ত্রাসবাদী'দের সমর্থন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে কলকাতার আম্মেদকর মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, 'পাড়ায় পাড়ায় বিভাজন তৈরি করছে বিজেপি। তারা বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছে।' 


পশ্চিমবঙ্গে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হচ্ছে না, বিবৃতি দিয়ে জানাল নবান্ন


পালটা আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,'এতদিন পর্দার পিছনে থেকে ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আজ প্রকাশ্যে এসেছেন।' দিলীপবাবুর দাবি, 'লুঙ্গি পরা সন্ত্রাসবাদীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'


দিলীপবাবুর কটাক্ষ, বাঙালি উদ্বাস্তু তো হিন্দি - উর্দু বোঝেন না। তাহলে আজ মুখ্যমন্ত্রী হিন্দি - উর্দুতে ভাষণ দিলেন কেন? আসলে তিনি ভোটব্যাঙ্ককে বার্তা দিতে চান, আমি তোমাদের পাশে আছি। ওনার এই ভোটব্যাঙ্করাই তাণ্ডব চালাচ্ছে। 


এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বাঙালিপ্রীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। বলেন, 'অসমে - কাশ্মীরে নির্যাতিত হচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সেখানে গিয়ে হাজিরও হয়েছিলেন তিনি। তাহলে এখন কেন অসমে যাচ্ছেন না? আসলে মুখ্যমন্ত্রী বাঙালির পক্ষে নয়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে।'


বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, 'বিজেপি হিংসা ছড়াচ্ছে তো উনি গ্রেফতার করছেন না কেন? বিজেপির ওপর এত দয়া কীসের? CAA নিয়ে সাম্প্রতিক হিংসায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। কোনও মামলা দায়ের হয়নি। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কীসের ভিত্তিতে বলছেন যে এর পিছনে বিজেপি দায়ী। ক্ষমতা থাকলে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেখান। সরকার পড়ে যাবে।'


এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বদানকেও এদিন কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। বলেন, ওনার হাত যেই ধরেছে তারই ভিটেমাটি লোপাট হয়ে গিয়েছে। পার্টি অফিসে তালা পড়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডু, মুলায়ম সিং যাদব, লালুপ্রসাদ যাদব... তালিকা দীর্ঘ।