গঙ্গাসাগরকে কুম্ভ মেলার মতো অগ্রাধিকার দিতে হবে, ফের সোচ্চার মমতা
গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কাকদ্বীপ থেকে ভেসেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করতে হয় পুন্যার্থীদের। ভাটার সময় ভেসেল পরিষেবায় প্রায়ই বাধা পড়ে। যোগাযোগ অবাধ করতে ৪ বছর আগে কেন্দ্রের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু বানানোর প্রস্তাব করেছিল নবান্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গঙ্গাসাগরকে কুম্ভ মেলার মতো অগ্রাধিকারের দাবিতে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বারবার বলা সত্বেও গঙ্গাসাগরকে কুম্ভ মেলার মতো অগ্রাধিকার দিচ্ছে না মোদী সরকার। সোমবার রাতে নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠক শেষে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গঙ্গাসাগর মেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেজন্য তাজপুর বন্দরের ৭৪ শতাংস সত্ত্ব কেন্দ্রকে ছাড়া হয়েছে। ৪ বছর পার হলেও সেতু তৈরির ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য নেই কেন্দ্রের।
একই সঙ্গে এদিন মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিংয়ের কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন মমতা। যাতায়াত ব্যবস্থা বাধাহীন করতে প্রশাসনকে তত্পর থাকতে বলেন তিনি।
এছাড়া গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। ৭ - ১৭ জানুয়ারির মধ্যে মেলায় কোনও পুণ্যার্থীর দু্র্ঘটনায় মৃত্যু হলে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন তাঁর পরিজনরা। কোনও
মতেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট নয়, স্পষ্ট করতে কাল রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে সোমেন
গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কাকদ্বীপ থেকে ভেসেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করতে হয় পুন্যার্থীদের। ভাটার সময় ভেসেল পরিষেবায় প্রায়ই বাধা পড়ে। যোগাযোগ অবাধ করতে ৪ বছর আগে কেন্দ্রের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু বানানোর প্রস্তাব করেছিল নবান্ন। ২৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু বানানোর দায়িত্ব নেয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সেজন্য তাজপুর বন্দরের ৭৪ শতাংস সত্ত্ব কেন্দ্রের হাতে ছাড়ে রাজ্য। কিন্তু তার পরও কেন্দ্রের তরফে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে কোনও তত্পরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে দাবি রাজ্যের।
রাজ্যের দাবি, মুড়িগঙ্গার ওপর ওই সেতু তৈরি হলে কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পৌঁছনো অনেক সহজ হবে। যার ফলে আমূল বদলে যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি।